Bathinda Military Station: ভোরের আলোয় অশান্ত পঞ্জাব, ভাটিন্ডায় সেনাশিবিরে চলল গুলি, নিহত চার জওয়ান
Military Station Firing:কে বা কারা গুলি চালাল, কোন পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
চণ্ডীগড়: পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় সেনা শিবিরে চলল গুলি। তাতে অন্তত চার সেনা জওয়ানের মৃত্যু (Bathinda Military Station)। ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ৫টার মধ্যে চলে গুলি বলে সূত্রের খবর। গুলি চলার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। তবে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই মুহূর্তে গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। তল্লাশি চলছে এলাকায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর সাউথ ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড (Military Station Firing)। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে।
স্থানীয় বাসিন্দারাও সেই গুলির শব্দ শুনতে পান
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ৪টে বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেনা শিবিরে গুলি চলে। স্থানীয় বাসিন্দারাও সেই গুলির শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে ক্যুইক রিয়্যাকশন টিম কাজে নেমে পড়ে। এলাকায় চিরুণি তল্লাশি শুরু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকায় ঢোকা এবং বেরনোর রাস্তা। চার জন জওয়ান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন বলে খবর।
#WATCH | Visuals from outside Bathinda Military Station where four casualties have been reported in firing inside the station in Punjab; search operation underway pic.twitter.com/jgaaGVIdMS
— ANI (@ANI) April 12, 2023
সেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, সেন অফিসারদের মেসের অন্দরে গুলি চলেছে। যে চার জওয়ান মারা গিয়েছেন, তাঁরা ৮০ মিডিয়াম রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: Siliguri Earthquake : ভূমিকম্প ! সকাল সকাল কেঁপে উঠল শিলিগুড়ি, কম্পন এই জেলাগুলিতে
কে বা কারা গুলি চালাল, কোন পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে ভাটিন্ডার এসএসপি গুলনীত খুরানার বিবৃতি অনুযায়ী, এক সৈনিকই সম্ভবত সতীর্থদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। তাতেই তপ্ত হয়ে ওঠে সেনা শিবির। এই সম্পর্কে বিশদ তথ্য এখনও সামনে আসেনি। তবে সেনা শিবিরের অন্দরেই এলোপাথাড়ি গুলির চলার ঘটনায় বেড়েছে উদ্বেগ।
সংবাদমাধ্যমে এসএসপি গুলনীত জানিয়েছেন, সেনা শিবিরের বাইরে মোতায়েন রয়েছে সেনার বিশাল বাহিনী। শিবিরে ঢোকার রাস্তা এখনও খালকরা যায়নি। এই ঘটনা সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই ব্য়ক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে বিষয়টি গোলাগুলিতে পৌঁছয় বলে মত এসএসপি গুলনীতের। যদিও পরে পঞ্জাব পুলিশের তরফে জঙ্গিযোগের তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়া হয়।
দিন কয়েক আগেই রাইফেল, কার্তুজ খোয়া যায় সেনা শিবির থেকে
আপাতত ভাটিন্ডায় সেনা ক্যান্টনমেন্টের চারটি ফটকই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সেনা এবং স্থানীয় প্রশাসন। কারণ দিন দুয়েক আগে ওই সেনা শিবির থেকেই একটি ইনসাস রাইফেল এবং ২৮টি কার্তুজ খোয়া যায়। তা ব্যবহার করেই গুলি চালানো হয়েছে কিনা, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে। ঘটনার নেপথ্যে সেনাবাহিনীরই কেউ বা কারা যুক্ত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে পঞ্জাব পুলিশ।