এক্সপ্লোর
ঈশ্বরের দিব্যি, সু্প্রিম কোর্টের ওপর ভরসা রাখুন! রামমন্দির নিয়ে ‘বয়ান বীরদের’ তোপ মোদির, নাম না করে নিশানা শিবসেনাকে?
শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে গত সোমবারও কেন্দ্রের কাছে রামমন্দির তৈরির জন্য ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ নিয়ে আইন জারির দাবি জানান। রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মামলার সব পক্ষকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে তাদের যুক্তি, বক্তব্য পেশ সম্পূর্ণ করতে বুধবারই নির্দেশ দিয়েছে সু্প্রিম কোর্ট।

নাসিক: রামমন্দির ইস্যুতে বিচার ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখার কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে শরিক শিবসেনাকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। শিবসেনা দীর্ঘদিন ধরেই অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে। তাদের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের মতো এই ইস্যুতেও ব্যবস্থা নিক মোদি সরকার। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে গত সোমবারও কেন্দ্রের কাছে রামমন্দির তৈরির জন্য ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ নিয়ে আইন জারির দাবি জানান। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এখানে এক জনসভায় বলেন, গত দুসপ্তাহ ধরে রামমন্দির নিয়ে কিছু ‘বয়ান বীরে’র যেসব বড় বিস্ফোরক কথাবার্তা শুনছি, তাতে আমি হতবাক। দেশে প্রত্যেকেরই সু্প্রিম কোর্টকে শ্রদ্ধা করা, তার ওপর ভরসা রাখা উচিত। মামলাটি সু্প্রিম কোর্ট শুনছে। হাতজোড় করে এঁদের বিচার ব্যবস্থায় আস্থা রাখতে বলব। আদালত যেখানে দৈনিক ভিত্তিতে শুনানি করছে, সব তরফের বক্তব্য শুনছে, আমি তখন বিস্মিত, এই ‘বয়ান বাহাদুররা’ কোথা থেকে এলেন? কেন ওরা বাধা সৃষ্টি করছেন? প্রত্যেকেরই সুপ্রিম কোর্ট, ভারতের সংবিধান, বিচার ব্যবস্থায় আস্থা রাখা উচিত বলেও অভিমত জানান মোদি। ‘ঈশ্বর, ভগবান রামের দিব্যি, বিচার ব্যবস্থায় ভরসা রাখুন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ক মামলার সব পক্ষকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে তাদের যুক্তি, বক্তব্য পেশ সম্পূর্ণ করতে বুধবারই নির্দেশ দিয়েছে সু্প্রিম কোর্ট। যার অর্থ, যে ৫ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার শুনানি করছে, তাদের হাতে রায় লিখে ১৭ নভেম্বরের আগে ঘোষণা করার জন্য এক মাস সময় থাকবে। ১৭ নভেম্বর অবসর নেবেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। গত সোমবার শিবসেনা সভাপতি বলেন, গত বছর থেকেই বলছি, বিশেষ আইন এনে রামমন্দির তৈরি করা উচিত। ১৯৯২ থেকে ইস্যুটা বহাল রয়েছে। আর কত বছর ধরে অপেক্ষা করতে হবে? আদালতে বিষয়টা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে, এটা শুনেই আসছি। আদালতকে এই ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানানোর আবেদন করছি। তবে তার বাইরে কেন্দ্র আদালতের অপেক্ষায় না থেকে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কেন্দ্র ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিল সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে। রামমন্দির ইস্যুতেও কেন্দ্রকে এরকম কিছু করতে আাবেদন করছি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের শাসনে প্রতিশ্রুতি পূরণ, বাস্তবায়নে জোর দেন তিনি। বলেন, উন্নয়ন, ভারতের বিশ্বশক্তি হয়ে ওঠার বার্তা, মানুষের কল্যাণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াসে জোর দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার কোটি টাকা পড়েছে, যার মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। ২০১৪-য় তাঁর ওপর ভরসা রেখে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোয় মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ ধন্যবাদ দেন মোদিকে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















