India-Pakistan Conflict : 'ভারতীয়দের ক্রমাগত উস্কানি দিয়ে কোনও লাভ নেই, পাকিস্তানিরা হেরে যাবে', স্পষ্ট বললেন প্রাক্তন CIA এজেন্ট
Ex-CIA Agent: CIA-তে ১৫ বছর ধরে কাজ করেছেন প্রাক্তন এই গোয়েন্দা কর্তা জন কিরিকৌ।

নয়াদিল্লি : 'ভারতের সঙ্গে যে কোনও যুদ্ধে হেরে যাবে পাকিস্তান।' মন্তব্য করলেন আমেরিকার প্রাক্তন এক গোয়েন্দা আধিকারিক। পুরনো কথা স্মৃতিচারণা করে তিনি জানান, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা CIA মনে করেছিল যে, ২০০১ সালে সংসদে হামলার পর যুদ্ধের পথে হাঁটবে দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র। CIA-তে ১৫ বছর ধরে কাজ করেছেন প্রাক্তন এই গোয়েন্দা কর্তা জন কিরিকৌ। তাঁর বক্তব্যে ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদের মধ্যে পুরনো অস্বস্তির কথা তুলে ধরেন। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার বছরগুলির কথাও সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে ইন্টারভিউর সময় শেয়ার করেন তিনি।
প্রাক্তন সিআইএ অফিসার উল্লেখ করেন যে, ইসলামাবাদকে এই নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে যে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের কোনও লাভ হবে না। তাঁর কথায়, "ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রকৃত যুদ্ধে আক্ষরিক অর্থেই ভাল কিছু হবে না, কারণ পাকিস্তানিরা হেরে যাবে। আমি পারমাণবিক অস্ত্রের কথা বলছি না। আমি কেবল একটি প্রচলিত যুদ্ধের কথা বলছি। ভারতীয়দের ক্রমাগত উস্কানি দিয়ে কোনও লাভ নেই।" সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯ সালে বালাকোট স্ট্রাইক এবং চলতি বছরের এপ্রিলে পহেলগাঁও হামলার পর অপারেশন সিঁদুর দেখা গেছে। সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের দ্বারা পরিচালিত হামলার পর ভারত দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিবার। নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে একাধিকবার সতর্ক করে দিয়েছে যে, কোনও রকম পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করা হবে না। কড়া জবাব দেওয়ার হুঙ্কার দিয়ে রেখেছে ভারত। কিরিকৌ জানান যে, ২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করেছিল যে, ২০০১ সালের সংসদ হামলার পর অপারেশন পরাক্রমের আবহে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা যুদ্ধর আকার নিতে পারে এবং ইসলামাবাদ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করে আমেরিকা।
প্রাক্তন সিআইএ কর্মকর্তা দাবি করেন, সেই সময়, সিআইএ আল কায়েদা এবং আফগানিস্তানের উপর নজর দিয়েছিল এবং ভারতের উদ্বেগের প্রতি খুব বেশি মনোযোগ দেয়নি। কিরিকৌ বলেন, "পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার নকশাকারী আবদুল কাদির খানকে আমেরিকা নির্মূল করতে পারত, কিন্তু সৌদি আরবের অনুরোধে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।" তাঁর কথায়, "আমরা যদি ইজরায়েলি পন্থা অবলম্বন করতাম, তাহলে আমরা তাঁকে হত্যা করতাম। আমরা জানতাম তিনি কোথায় থাকতেন এবং দিন কাটাতেন। কিন্তু তাঁর উপর সৌদি সরকারের সমর্থন ছিল। সৌদিরা আমাদের কাছে এসে বলল, 'দয়া করে তাঁকে একা থাকতে দিন। আমরা আবদুল কাদির খানকে পছন্দ করি। আমরা আবদুল কাদির খানের সঙ্গে কাজ করছি। তাঁকে ছেড়ে দিন।"






















