দক্ষিণ আফ্রিকায় পণ্যবাহী ভারতীয় জাহাজে করোনা আক্রান্তের হদিশ
ডারবানে পৌঁছনোর পর জানা যায়, ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজের ওই কর্মীরা সংক্রমিত হয়েছেন।
নয়াদিল্লি: দক্ষিণ আফ্রিকায় পণ্যবাহী ভারতীয় জাহাজে ১৪ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। ডারবানে পৌঁছনোর পর জানা যায়, ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজের ওই কর্মীরা সংক্রমিত হয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সনেট ন্য়াশনাল পোর্ট অথিরিটির মুখপাত্র জানান, ওই জাহাজের প্রধান ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে। তবে তা করোনার জেরে নয়। মৃত্যু হয়েছে হৃদযন্ত্রে বিকল হয়ে। তিনি জানিয়েছেন, ডারবানে জাহাজ পৌঁছনোর পর করোনা পরীক্ষা করা হয় প্রত্য়েকের। দেখা যায়, জাহাজের ১৪ জন কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রত্যেককে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা শুরু হয়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ট্রান্সনেটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই জাহাজ ইতিমধ্যে কোয়ারান্টিন করা হয়েছে। জাহাজে কাউকে ঢুকতে বা কাউকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। বন্দরের এক প্রবীণ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রবিবার থেকে প্রায় ২০০ জন কর্মী ওই জাহাজে কাজ করেছেন। প্রায় ৩ হাজার টন চাল জাহাজ থেকে নামানো হয়েছে। একেকটি ব্যাগে প্রায় ৫০ কেজি চাল ছিল। রবিবার বহু মানুষ জাহাজে উঠেছিল। তাই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ কর্তৃপক্ষের।
কোভিড প্রটোকল মেনে ডারবান বন্দরে ওই জাহাজ কোয়ারান্টিন করা হয়েছে। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ওই জাহাজে সব ধরনের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দর থেকে ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য জাহাজ। বন্দরে যেসব জাহাজ পৌঁছচ্ছে সেখানে প্রত্যেক যাত্রী এবং কর্মীদের সুরক্ষার দায় ট্রান্সনেট ন্য়াশনাল পোর্ট অথিরিটির। উল্লেখ্য, ভারতে মহামারীর বাড়বাড়ন্তের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভারত সহ অন্যান্য দেশ থেকে আগতদের ইতিমধ্যে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন।
এদিকে ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। বেলাগাম ভাবে বাড়ছে সংক্রমণ। গতকাল, দেশের মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছিল ২ কোটি। আজ, বুধবার, প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি পৌঁছল দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪-ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩,৭৮০ জনের। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪-ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৫ জন।