(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Odisha Train Accident: পুরী-ভুবনেশ্বর-কটক থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিনামূল্যে বাস পরিষেবার ঘোষণা নবীন পট্টনায়কের
Free Bus Service: বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় তছনছ শয়ে শয়ে প্রাণ। এই আবহে ওড়িশার স্টেট ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস ডিপার্টমেন্টের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়।
ভুবনেশ্বর: পুরী (Puri), ভুবনেশ্বর (Bhubaneswar) এবং কটক (Cuttack) থেকে কলকাতার বিনামূল্যে বাস পরিষেবার কথা ঘোষণা করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক (Odisha Chief Minister Naveen Patnaik)। আজ থেকেই শুরু হবে এই বিনামূল্যের বাস পরিষেবা (Free Bus Service) এবং বালেশ্বর লাইনে (Balasore Route Train Service) ট্রেন চলাচল পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই পরিষেবা।
ওড়িশা থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিনামূল্যে বাস পরিষেবা
বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় তছনছ শয়ে শয়ে প্রাণ। এই আবহে ওড়িশার স্টেট ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস ডিপার্টমেন্টের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নবীন পট্টনায়ক পুরী ভুবনেশ্বর ও কটক থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিনামূল্যে বাস পরিষেবার কথা ঘোষণা করলেন আজ। বালেশ্বর রুটে স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত এই পরিষেবা চলবে। প্রত্যেকদিন প্রায় ৫০টি বাস কলকাতা পর্যন্ত এই পরিষেবা দেবে।'
#TrainAccidentInOdisha
— I & PR Department, Odisha (@IPR_Odisha) June 4, 2023
Hon’ble CM Sri Naveen Patnaik has announced free bus service to Kolkata from Puri Bhubaneswar & Cuttack from today. It will continue till restoration of normal train service in Balasore route. Daily around 50 buses provides transport service to kolkata.
এর আগে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান যে করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে। আজ ট্র্যাক সংস্কারের কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।
করমণ্ডল-কাণ্ডের পর প্রশ্নচিহ্ন বসে গিয়েছে রেলের 'কবচ' প্রকল্পের পাশেও। বর্তমান রেলমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ‘কবচ’ হল ACD অর্থাত্ অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ৷ এর মাধ্যমে এক লাইনে দু’টি ট্রেনের সংঘর্ষ এড়ানো যায়। রেডিও কমিউনিকেশন, মাইক্রোপ্রসেসর এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা GPS প্রযুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে 'কবচ'। তিনটি অংশে বিভক্ত এই যন্ত্রটির প্রধান অংশ অন্য অংশটিকে জানান দেয়, সেই লাইনে অন্য কোনও ট্রেন সেই মুহূর্তে আছে কি না ৷ দু’টি ট্রেন একই লাইনে চলে এলে এবং তাদের মধ্যে দূরত্ব কমে এলে ইঞ্জিনে বসানো যন্ত্রের মাধ্যমে সিগন্যাল দিতে থাকে ‘কবচ’। যা চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। শুধুমাত্র, সামনে থেকে সংঘর্ষ এড়ানোই নয়, ACD থাকলে পিছন থেকেও কোনও ট্রেন ওই লাইনে এসে পড়লেও নির্দিষ্ট দূরত্বে থমকে যাবে পিছনের ট্রেন।
২০১৪ সালে প্রথম এই প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। ২০২০ সালে ‘কবচ’কে জাতীয় স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনগুলিতে সেই সুরক্ষাকবচ ছিল কি ? প্রশ্ন উঠছে। বিভিন্ন রুটে ট্রেনের গতি বাড়ছে। ছুটছে সেমি হাইস্পিড ট্রেন। চলবে বুলেট ট্রেনও। তাদের থেকে অনেক কম গতিতে ছোটা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এই অবস্থা হলে, ভবিষ্যতে কী হবে! আর কবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত হবে যাত্রীদের নিরাপত্তা?