Fake Paneer Racket: কোথাও ৫৫০, কোথাও ১৩৫ কেজি, দীপাবলির আগে নকল পনির উদ্ধার, দুধ, খোয়া ক্ষীর, মেওয়া, ভোজ্যতেলেও ভেজাল
Fake Paneer: আলোর উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের সর্বত্র। সেই আবহে নকল পনিরে বাজার ছেয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

নয়াদিল্লি: দীপাবলির আগে বাজার ছেয়ে গিয়েছে নকল পনিরে। গত কয়েক দিন ধরে অভিযোগ-অনুযোগ সামনে আসছিলই, এবার হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলল। নয় নয় করে ৫৫০ কেজি নকল পনির উদ্ধার হল নয়ডা থেকে। উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরে হানা দিয়েও ১৩৫ কেজি নকল পনির, ২০০ লিটার ভেজাল দুধ উদ্ধার করা হয়েছে। কানপুরেও ৫.৮১ লক্ষ টাকার নকল খাদ্যপণ্য নষ্ট করিয়েছে খাদ্য দফতর। (Fake Paneer Racket)
আলোর উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে দেশের সর্বত্র। সেই আবহে নকল পনিরে বাজার ছেয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। নয়ডায় খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের তরফে যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়, তাতে একটি গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৫৫০ কেজি নকল পনির। ওই পনিরের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে FSSAI. (Fake Paneer)
শুধু নয়ডা বলেই নয়, সহারনপুরের রায়পুর রোড এলাকায় একটি ডেয়ারিতে হানা দেন খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা। সেখান থেকে ২০০ লিটার নকল দুধ ও ১৩৫ কেজি নকল পনির উদ্ধার হয়। অন্য দিকে, কানপুরে ৫.৮১ লক্ষ টাকার নিম্নমানের খাদ্যপণ্য বাজেয়াপ্ত করিয়ে, তা নষ্ট করানো হয়েছে। নকল পনির, নকল খোয়া ক্ষীর, নকল মেওয়ার পাশাপাশি, ৬৬ হাজার টাকার ভেজাল ভোজ্যতেলও নষ্ট করানো হয়। মোট ১১টি নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। মিষ্টির দোকান, গুদাম, অস্থায়ী ডেয়ারি কেন্দ্র এবং মান্ডিতে তল্লাশি চালিয়ে সেগুলি উদ্ধার করা হয়।
#Noida में खाद्य सुरक्षा विभाग द्वारा डेयरी इकाइयों पर कार्रवाई की गई है। एक गाड़ी से लगभग 550 किलोग्राम पनीर बरामद किया गया।पनीर को मिलावटी और उपभोग हेतु अनुपयुक्त पाया गया , जिसके बाद इसे नष्ट करा दिया गया। इस दौरान पनीर के नमूने जांच के लिए प्रयोगशाला भेजे गए #FSSAIAction pic.twitter.com/dvBvHKLFoM
— FSSAI (@fssaiindia) October 12, 2025
মেয়াদোত্তীর্ণ পনির বিক্রির অভিযোগে গুরুগ্রামে অনলাইন পণ্য সরবরাহকারী সংস্থা, Blinkit-এর দফতরেও সম্প্রতি তল্লাশি চালানো হয়। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতেই সেখানে হানা দেন খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকরা। সেখান থেকে পনির, কেশর প্যাঁড়া, মিল্ককেক, টোনড মিল্কের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য।
ভেজাল এবং নকল পনির ও দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রির অভিযোগ নতুন নয়। FSSAI-এর রেকর্ড বলছে, ভারতে যে পনির বিক্রি হয়, তার ৮৩ শতাংশই গুণমানের মাপকাঠি পূরণ করতে ব্যর্থ। ৪০ শতাংশ পনিরেই পাম তেল, ডিটারজেন্ট, ইউরিয়া ও সিন্থেটিক রাসায়নিক মেশানো থাকে। তাই নকল পনির খাওয়ার চেয়ে নন-ডেয়ারি খাবার বেছে নিচ্ছেন অনেকে। সেই তালিকায় রয়েছে টোফু, মাশরুম, আমন্ড পনির, কাবুলি ছোলার পনির। বিশেষজ্ঞদের মতে, নকল পনিরে নেফ্রোটক্সিক উপাদান থাকে, যা আমাদের কিডনির ক্ষতি করে, লিভারে বিষ ঢোকে। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী মহিলাদের এই পনির খাওয়া উচিত নয়। আগে থেকেই অসুস্থ যাঁরা, তাঁদেরও এড়িয়ে চলা উচিত এই পনির। শিশুদের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। নকল পনিরে বাড়ে ক্যান্সারের ঝুঁকিও।






















