(Source: Poll of Polls)
প্রয়াগরাজে বিপদসীমার ওপরে বইছে গঙ্গা-যমুনা, বিপন্ন লক্ষাধিক জীবন
সেখানে গঙ্গা-যমুনা দুই নদীই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে। ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি।
নিউদিল্লি: টানা বৃষ্টির জেরে কেবল বাংলা বিপর্যস্ত নয়, প্রয়াগরাজের অবস্থাও তথৈবচ। সেখানে গঙ্গা-যমুনা দুই নদীই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে। ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই যেখানে যেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে কার্যত ধ্বংসলীলা চালিয়েছে দুই নদীই। সেই বন্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেককেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফের দল মোতায়েন করা হয়েছে। যারা ক্রমাগত ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ করছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় কুমার খাত্রি এবং অন্যান্য অফিসাররা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। জানা গিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় দুই নদীর জলস্তর প্রায় তিন থেকে ৪ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে।
সরকারের তরফে জানান হয়েছে আগামী দুই থেকে তিন দিন ধরে গঙ্গা-যমুনার জলস্তর বাড়বে। ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতির জেরে একাধিক বাড়ি নদী গ্রাসে তলিয়ে গিয়েছে। রাস্তায় চলাচলের জন্য নৌকা করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে সকলকে। সরকারি কর্মীরা প্রতিনিয়ত বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে চলেছেন। আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার কাজ চালানোর চেষ্টা হচ্ছে।
পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে নৌকার মাধ্যমে আটকে পড়া মানুষকে বের করে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যা ত্রাণ কেন্দ্রে মানুষের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেবল বাড়িঘর নয়, একাধিক মন্দিরও জলের তলায়। ভেঙেচুরে গিয়েছে দেবস্থানও। দারাগঞ্জ এলাকার প্রাচীন দশাশ্বমেধ মন্দির এবং তার পাশে অবস্থিত আদি গণেশ মন্দিরের প্রথম তলা পুরোপুরি বন্যার জলে তলিয়ে গেছে।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশকিছু জেলায়। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার - পাঁচ জেলাতেই বৃষ্টি চলছে, সেখানেও জারি হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
বানভাসি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। হু হু করে ঢুকছে নদীর জল। গত সপ্তাহের বৃষ্টিপাতের পর জল ছেড়েছে বাঁধগুলি। তার জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একাধিক জেলায়।