গঙ্গা থেকে নেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা, দাবি বিজ্ঞানীদের
দুমাসের এই গবেষণা শেষে করোনা সংক্রমণের কারণ গঙ্গা নয়।
নয়াদিল্লি: করোনা মুক্ত গঙ্গা। গঙ্গা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা নেই বলে জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা। বীরবল সাহনি ইনস্টিটিউট অফ প্যালিওসায়েন্সেসের বিজ্ঞানী গবেষণায় এই তথ্যই তুলে ধরেছেন। গবেষণায় অংশ নিয়েছেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। যদিও বিজ্ঞানীরা এর আগে লখনউয়ের গোমতী নদীর জলে SARS-CoV2 ভাইরাস খুঁজে পেয়েছিলেন।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, বীরবল সাহনি ইনস্টিটিউট অফপ্যালিওসায়েন্সেসের মেডিক্যাল এবং জেনেটিক বিশেষজ্ঞরা যৌথভাবে একটি গবেষণা করে। দুমাসের এই গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা জানিয়ে দিলেন, করোনা সংক্রমণের কারণ গঙ্গা নয়। বীরবল সাহনি ইনস্টিটিউট অফপ্যালিওসায়েন্সেসের কোভিড ল্যাবের প্রধান নীরজ রাই বলেন, আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছিল। যার মধ্যে অনেকের পজিটিভ এবং নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। আশ্চর্যের বিষয়, গঙ্গা থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলির কোনওটিতেই ভাইরাল আরএনএর কোনও চিহ্নই দেখা যায়নি। তবে গোমতী নদী থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলিতে ভাইরাল আরএনএর উপস্থিতি দেখা যায়।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জ্ঞানেশ্বর চৌবে বলেন, বীরবল সাহনি ইনস্টিটিউট অফপ্যালিওসায়েন্সেস এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি যৌথ দল সমীক্ষা চালিয়েছিল। মে মাসে গঙ্গায় দেহ ভাসার পর অনেকেই বলেছিলেন, গঙ্গায় ভাইরাসের উপস্থিতি থাকতে পারে। তাই গঙ্গায় করোনার সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে তদন্ত করা হয়। জ্ঞানেশ্বর চৌবে জানিয়েছেন, ১৫ মে থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত ৭ সপ্তাহে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বারাণসী থেকে প্রতি সপ্তাহে দুদিন এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রতিবারই নমুনা সংগ্রহ করা এবং পরীক্ষা পদ্ধতি একই ছিল।
লখনউয়ের গোমতী নদীতে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দুদফায় গোমতীর জলকে পরিশুদ্ধ করা হবে বলে জানি গিয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের পর চলতি বছর মে মাসে ফের গোমতীতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যায়। উল্লেখ্য, গঙ্গা ও যমুনা নদীতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ ভেসে যাওয়ার পরে গঙ্গা নদীর জল দূষিত হতে পারে বলে আশঙ্কা হয়। এমনকী গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে মৃতদেহ ফেলে রেখে যাওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। এরপরই এই তথ্য অনুসন্ধান করতে উদ্যোগী হন বিজ্ঞানীরা। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক তথা এই গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য ভি এন মিশ্র বলেন, এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে কিছু সাধারণ ভাইরাস দেখা গিয়েছে।