COVID Vaccination Update: WHO-এর আবেদন 'নাকচ', সেপ্টেম্বরেই তৃতীয় ভ্যাকসিন দেবে জার্মানি-ফ্রান্স
সম্প্রতি বিশ্বের ভ্যাকসিন ডোজের বৈষম্য নিয়ে সরব হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর তরফে বলা হয়, বিশ্বের ধনী দেশগুলির কাছে বেশিরভাগ ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে গিয়েছে। তুলনায় অনেক কম ডোজ পেয়েছে গরিব দেশগুলি।
নয়াদিল্লি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHo)-র আবেদনে 'আমল দিল না' জার্মানি, ফ্রান্স। সেপ্টেম্বর থেকেই দেশের নাগরিকদের কোভিড ভ্যাকসিনের 'বুস্টার ডোজ' দেবে দুই দেশ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে তাদের এই সিদ্ধান্ত।
সম্প্রতি বিশ্বের ভ্যাকসিন ডোজের বৈষম্য নিয়ে সরব হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর তরফে বলা হয়, বিশ্বের ধনী দেশগুলির কাছে বেশিরভাগ ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে গিয়েছে। সেই তুলনায় অনেক কম ডোজ পেয়েছে গরিব দেশগুলি। তাই এখনই দেশবাসীকে ভ্যাকসিনের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া থেকে বিরত থাকুক ধনী দেশগুলি।
যদিও WHO-এর আবেদনে কর্ণপাত করল বেশ কয়েকটি দেশ। বিশ্বের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নাগরিকদের তৃতীয় ডোজ দিতে চলেছে তারা। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মাথাচাড়া দেওয়ায় তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি , ফ্রান্স। এ বিষয়ে ফ্লান্সের প্রেডিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো জানান, শীঘ্রই দেশবাসীকে কোভিডের তৃতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে ফ্রান্স। প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা কোভিডের বুস্টার ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ম্যাক্রো লিখেছেন, ''তৃতীয় ডোজের প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে এখনই সবার জন্য এই ডোজ নয়। সবথেকে প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্যই এই ডোজের কথা ভাবা হচ্ছে।'' সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের মতো একই পথে হাঁটতে চলেছে জার্মানিও। সেপ্টেম্বর থেকেই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করবে তারা। তবে সবার জন্য এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। স্বাভাবিকভাবে রোগ প্রতিরোধী শক্তি কম এমন ব্যক্তিদেরই এই ডোজ দেওয়া হবে। এই তৃতীয় ডোজের তালিকায় থাকবেন বয়স্ক নাগরিকরাও। অন্তত রয়টার্সকে
তেমনই জানিয়েছে জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের ধনী দেশগুলির কাছে ভ্যাকসিনের বেশিরভাগ ডোজ চলে গিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মে মাস পর্যন্ত প্রতি ১০০ জনে ৫০টি ভ্যাকসিনের ডোজ পেয়েছে ধনী দেশগুলি। সেই তুলনায় গরিব দেশে ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ১.৫ জন কোভিডের টিকা পেয়েছেন। ভ্যাকসিনের অভাবের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ রুখতে অলিম্পিক অ্যাথলিটস, বিজনেস লিডারস, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে 'মুখ খোলার' আবেদন জানিয়েছে WHO। ধনী দেশগুলি যাতে অক্টোবরের আগে তৃতীয় ডোজ না নেয় তার জন্য প্রভাব খাটাতে বলা হয়েছে তাদের।