এক্সপ্লোর
৯০% নম্বরেও কলেজে নিশ্চিত নয় আসন, নজিরবিহীন সঙ্কটে পড়ুয়ারা
শিক্ষাবিদরা বলছেন, কলেজভিত্তিক না হয়ে কেন্দ্রীয়স্তরে অনলাইনে ভর্তি হলে এই দুর্ভোগ এড়ানো যেত।

কলকাতা: করোনা অতিমারীতে উচ্চমাধ্যমিক, সিবিএসই, আইএসসি-তে ৯০ শতাংশ এমনকী তার বেশি নম্বরের ছড়াছড়ি। ফলে নজিরবিহীন সঙ্কটে পড়েছেন সদ্য পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঙ্কটের মূল কারণ নম্বরের বাড়বাড়ন্ত। কলেজভিত্তিক না হয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে অনলাইনে ভর্তি হলে এড়ানো যেত দুর্ভোগ। একটা সময় উচ্চমাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন পেলেই পরিবারে আনন্দের বন্যা বইত। আর এবার উচ্চমাধ্যমিক, সিবিএসই, আইএসসি-তে ৯০ থেকে ৯৫% নম্বর পেয়েও কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করতে পারছেন না বহু কৃতী। কোভিড পরিস্থিতিতে এবার বিভিন্ন পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, হয়ে যাওয়া পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে মার্কশিট। বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই দেদার নম্বর পাওয়ায় দেখা দিয়েছে অভিনব এই ভর্তি সংকট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ভর্তি শুরু হয়নি। গত বছর কলা বিভাগে আবেদন জমা পড়েছিল ১১ হাজার, এবার পড়েছে ২৭ হাজার। ১৪ হাজারের জায়গায় বিজ্ঞানে এবার আবেদনকারী ৩১ হাজার। প্রচুর নম্বরের জেরে আবেদনপত্রের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে ভর্তির মেরিট লিস্ট তৈরির ক্ষেত্রে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত অনুযায়ী সর্বনিন্ম নম্বরও। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দফার মেধা তালিকায় জীববিদ্যায় যাঁর স্থান সবার নীচে, ৪০০ মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত ৩৯০.৭৮। পদার্থবিদ্যায় ৩৯৮.২৫ এবং অর্থনীতিতে ৩৯১। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানিয়েছেন, এবার ৫৩ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যদি ফাঁকা থাকে তবে পরে আবার তালিকা বার করবেন তাঁরা। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের প্রথম মেরিট লিস্টের সব থেকে নীচে থাকা পদার্থবিদ্যার আবেদনকারীর প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.২%, রসায়নে ৯৯.৮%, অঙ্কে ৯৯.১%। দেখুনআশুতোষ কলেজের পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার চতুর্থ দফার মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে। জিওলজির আবেদনকারীদের মধ্যে সবার নীচে থাকা পড়ুয়া পেয়েছেন ৯৫.৫% নম্বর। সংখ্যাতত্ত্বে সেই নম্বর ৯৬.৫%, পদার্থবিদ্যায় ৯৬.২৫%। এমনকী শিয়ালদহের সুরেন্দ্রনাথ কলেজেও পঞ্চম দফার মেধা তালিকা প্রকাশের পর মাইক্রোবায়োলিতে সবচেয়ে শেষে থাকা আবেদনকারীর প্রাপ্ত নম্বর ৯৩.৪%, সংখ্যাতত্ত্বে ৯৪.৬%। বিশেষজ্ঞা বলছেন, এই সঙ্কটের মূল কারণ নম্বরের বাড়বাড়ন্ত। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ৩০ হাজার ২২০ জন। এবার অনেক ক্ষেত্রেই রেওয়াজ ভেঙে পিছিয়ে পড়েছেন দিল্লি বোর্ডের ছাত্ররা। ফলে, ৯০-৯২% নম্বর পেয়েও ভাল কলেজের আশায় অনলাইনে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। শিক্ষাবিদরা বলছেন, কলেজভিত্তিক না হয়ে কেন্দ্রীয়স্তরে অনলাইনে ভর্তি হলে এই দুর্ভোগ এড়ানো যেত।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















