Centre on Covid19: করোনা আক্রান্তের জন্য তিন নয়া দাওয়াই দিলেন কোভিড টাস্ক ফোর্স প্রধান
Covid Patients Medicines: কোভিড -১৯ ওষুধের "অপব্যবহার এবং অত্যধিক ব্যবহার" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডাঃ ভি কে পল
নয়া দিল্লি: করোনা আক্রান্ত হলে বেশিরভাগই রয়েছেন নিভৃতবাসে। চিকিৎসাও চলছে হোম আইসোলেটেড অবস্থায়। কিন্তু হিতে বিপরীত হচ্ছে না তো? কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-১৯ ওষুধের "অপব্যবহার এবং অত্যধিক ব্যবহার" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ প্রতিদিনই ভারতে বাড়ছে করোনার দাপট। তবে এবার উপসর্গ কম থাকায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ডেল্টার সময়ের তুলনায় অনেকটাই কম।
একটি সাংবাদিক বৈঠকে NITI আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডাঃ ভি কে পল বলেছেন, যে সব কোভিড আক্রান্ত রোগীরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাঁরা যেন জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খান আর কাশির জন্য আয়ুশ সিরাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। চিকিৎসক বলেন, "জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল এবং কাশির জন্য আয়ুষ সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা হোম কেয়ার মডিউলেও এটি নির্ধারণ করেছি। কাশি তিন দিনের বেশি চলতে থাকলে, বুডেসোনাইড নামে একটি ইনহেলার আছে সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে।"
এছাড়াও সুস্থ থাকতে বার বার গরম জলে গার্গল এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। ডক্টর ভি কে পল বলেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন, তাদের জন্য ডেক্সামেথাসোন এবং রেমডেসিভির-এর মতো ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে।
চিকিৎসকের কথায়, "যখন আমরা হাসপাতালে যাই এবং সেখানে অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে ক্লিনিকাল ক্ষেত্রে মিথাইলপ্রেডনিসোলোন বা ডেক্সামেথাসোন দেওয়া হয়। হাসপাতালের অভ্যন্তরে ডাক্তাররাও হেপারিন দিয়ে থাকেন। সেখানেও রেমডেসিভিরের জন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। বাড়িতে এটি দেওয়ার কোন মানে হয় না - এটি অতিরিক্ত ব্যবহার, আতঙ্ক এবং অপব্যবহারের দিকে পরিচালিত করে।" তিনি সাফ জানান, সরকারি নির্দেশিকাগুলি সেরা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি হয়েছে। তবে চিকিৎসক পল বলেন, "কোভিড চিকিত্সায় ওষুধের অতিরিক্ত অপব্যবহারের বিষয়ে আমাদের সত্যিকারের উদ্বেগ রয়েছে"।
এদিকে, দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষের দোরগোড়ায়। গতকালের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ২৬ হাজারের বেশি। গতকালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হল মৃত্যুর সংখ্যা। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন। যা গত সাত মাসে সর্বাধিক। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৩। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪২ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৭৭। দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ৭০ হাজার ৫১০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।