Harischandrapur Panchayat: হরিশ্চন্দ্রপুরের পঞ্চায়েতে তৃণমূলী প্রধানের বিরুদ্ধে অনস্থা দলেরই সদস্যদের
আবার তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই সদস্যদের। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
করুণাময় সিংহ, হরিশ্চন্দ্রপুর : আবার তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই সদস্যদের। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। তৃণমূলের 10 জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিককে চিঠি দিয়েছেন। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে 18টি আসনের মধ্যে তিনটি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস, 11টি আসন দখল করে কংগ্রেস, তিনটি আসনে জয়লাভ করে বামেরা। একটি আসনের দখল নেয় বিজেপি। ভোট পর্ব মিটতেই কংগ্রেসের নয় জন, বামেদের দুই জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ওই পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল।
কিন্তু তিন বছরের মধ্যেই দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে উন্নয়নের কাজ না করা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনলেন দলের সদস্যরা। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সোনামণি সাহা। উন্নয়নে কাজ না হওয়ার জন্য দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
এই ঘটনায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। যদিও গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে জানিয়েছেন তৃণমূল যুবর সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। এদিকে বিষয়টিকে ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
সম্প্রতি মালদা জেলারই রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ঘিরে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানোর পর বিস্ফোরক অভিযোগ করেন রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সাধন চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, " আস্থা-অনাস্থা ঘিরে জর্জরিত পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত কাজকর্ম। মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন উন্নয়নের জন্য। উন্নয়ন করতে পারিনি। বিগত তিন বছর ধরে উন্নয়নের কাজ বন্ধ। শুধু রাবার স্ট্যাম্প হয়ে বসে আছি। মানুষের কোনও কাজ করতে পারেনি। তাই সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।"
গোষ্ঠী কোন্দলের কথা কার্যত স্বীকার করে নেয় জেলা নেতৃত্ব। একইসঙ্গে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে দাবি করেন জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা। তাঁর এই দাবিকে কটাক্ষ করে বিজেপি। যদিও জেলায় ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।