Haryana Election Results: ভোটগণনা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ, হরিয়ানায় ভোটের ফল মানছে না কংগ্রেস, বলল, 'এখানেই শেষ নয়'
Haryana Assembly Election Results 2024: মঙ্গলবার হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে।
চণ্ডীগড়: ভোটগণনার প্রক্রিয়া হঠাৎ করে শ্লথ হওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার কংগ্রেস জানিয়ে দিল, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল মানছে না তারা। ভোটযন্ত্র EVM-এ বিকৃতি ঘটানোর পাশাপাশি, রাজনৈতিক স্বার্থে BJP জনাদেশ বদলে দিয়েছে বসে অভিযোগ করছে তারা। গণনাপ্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। (Haryana Election Results)
মঙ্গলবার হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। সন্ধে ৭টা পর্যন্ত যে হিসেব মিলেছে, সেই অনুযায়ী, বিধানসভার ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতে এগিয়ে রয়েছে BJP, ৩৭টিতে এগিয়ে কংগ্রেস। কিন্তু এই ফলাফল মানতে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, "গোটা বিকেল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আমার। প্রথমে আমি চিঠি দিয়েছিলাম, পরে ওদের উত্তরের পাল্টা চিঠিও দিয়েছি। ভোটগণনার প্রক্রিয়া, EVM-এর সমস্যা নিয়ে কমপক্ষে তিন জেলা থেকে গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। হরিয়ানায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ একত্রিত করা হচ্ছে, যা কমিশনের কাছে তুলে ধরা হবে।" (Haryana Assembly Election Results 2024)
হরিয়ানার এই ফলাফল একেবারে অপ্রত্যাশিত এবং যাবতীয় হিসেব-নিকেশের পরিপন্থী বলে দাবি করেন জয়রাম। তাঁর কথায়, "এই ফলাফল বাস্তব পরিস্থিতির একেবারে উল্টো। মানুষের ইচ্ছা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, এটা তার জয়। পরিবর্তনের জন্য ভোট দিয়েছিলেন হরিয়ানার মানুষ। আজ যে ফল প্রকাশ করা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া অসম্ভব।"
হরিয়ানায় কংগ্রেস হারেনি, কংগ্রেসকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে বলেও দাবি করেন জয়রাম। তাঁর বক্তব্য, "দেওয়াললিখন একেবারে স্পষ্ট ছিল। কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা দেওয়াললিখন মুছে অন্য কিছু লেখে দেন। এক্ষেত্রে ভোটযন্ত্রের হিসেব পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আমরা সব অভিযোগ জমা করছি। সকলেই জানতেন, হরিয়ানায় কংগ্রেস হেসেখেলে জিতবে। কংগ্রেস নির্বাচনে হারেনি, কংগ্রেসকে ফন্দি করে হারানো হয়েছে। হরিয়ানার এই ফলাফল কিন্তু শেষ নয়!"
হরিয়ানায় ভোটগণনার প্রক্রিয়া নিয়েও এদিন নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় কংগ্রেস। তাদের দাবি , সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে হঠাৎই গণনার গতি শ্লথ হয়ে যায়। কেন, কী বৃত্তান্ত কিছুই জানানো হয়নি। এতে গোটা প্রক্রিয়াই দুর্বল হয়ে যায়। সেই ফাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন প্রচার শুরু হয়ে যায়, যা গণনাপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। যদিও কমিশন এই অভিযোগ অস্বীকার করে।