এক্সপ্লোর
Advertisement
মুম্বই থেকে ১৬০০ কিমি হেঁটে বারাণসীতে যুবক, করোনাভাইরাস বয়ে এনেছে সন্দেহে বাড়ি ঢুকতে দিল না মা, ভাই!
রেললাইন ধরে হেঁটেছেন, বেশিরভাগ সময়ই পেটে কিছুই পরেনি, কখনও দয়াপরবশ হয়ে কেউ কিছু খেতে দিয়েছে, তাতেই চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন অশোক। বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পৌঁছে বন্ধুদের ফোন করলে তাঁরা তাঁকে আগে হাসপাতালে স্ক্রিনিং করানোর পরামর্শ দেন বলে জানান অশোক।
নয়াদিল্লি: মুম্বই থেকে রওনা দিয়ে প্রায় ১৪ দিন ১৬০০ কিমির ওপর রাস্তা হেঁটে রবিবার রাতে বারাণসী পৌঁছলেন ২৮ বছরের এক যুবক। অশোক কেশরী নামে যুবকের বাড়ি বারাণসীর সপ্তসাগর দাওয়া মান্ডি এলাকায়। কাজ করেন মুম্বইয়ের নাগপড়ার এক হোটেলে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যে হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৩০ মার্চ বারাণসীর বাড়ি রওনা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কিন্তু তাঁকে বাড়ির ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেননি স্বয়ং তাঁর মা, ভাই। আগে সরকারি হাসপাতালে স্ক্রিনিং হয় অশোকের। সেখানে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়নি, প্রমাণ পাওয়ার পরই তিনি বাড়িতে প্রবেশের ছাড়পত্র পান।
রেললাইন ধরে হেঁটেছেন, বেশিরভাগ সময়ই পেটে কিছুই পরেনি, কখনও দয়াপরবশ হয়ে কেউ কিছু খেতে দিয়েছে, তাতেই চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন অশোক। বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পৌঁছে বন্ধুদের ফোন করলে তাঁরা তাঁকে আগে হাসপাতালে স্ক্রিনিং করানোর পরামর্শ দেন বলে জানান অশোক। তিনি প্রথমে যান কবীর চৌরার ডিভিশনাল হাসপাতালে। সেখানকার ডাক্তাররা তাঁকে জেলা হাসপাতালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের স্ক্রিনিং হয় বলে জানিয়ে সেখানে যেতে বলেন। পায়ে পায়ে সেখানেই যান তিনি। সেখানকার ডাক্তাররা পরীক্ষা করে জানান, তাঁর করোনাভাইরা সংক্রমণ হয়নি। তবে তাঁকে সাবধানতা মেনে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন তাঁরা। তারপরই অনভিপ্রেত অভিজ্ঞতা হয় অশোকের। বাড়ি পৌঁছতেই প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর পাঠান। আসেন কোতোয়ালি ইনস্পেক্টর মহেশ পান্ডে। তাঁর মধ্যস্থতায় অশোক বাড়িতে ঢোকেন। ওর শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ না থাকায় এলাকায়, বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হল বলে জানান তিনি। বলেন, একতলায় অশোককে একটা আলাদা ঘরে রাখতে বলা হয়েছে ওর পরিবারকে।
যদিও একটি সূত্রের খবর, বারাণসী ক্য়ান্টনমেন্ট রেল স্টেশন পৌঁছে মা-কে ফোন করে বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানালে মায়ের কথা শুনে ভেঙে পড়েন তিনি। অশোক বলেন, এমন কঠিন সময়ে ঘর থেকে দূরে থাকা ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে আকুল হন অভিভাবকরা। ভেবেছিলাম, ফিরে এসেছি শুনে মা খুশি হবে। কিন্তু এ তো দেখি উল্টো।
অশোক জানিয়েছেন, তাঁকে ভাইরাসমুক্ত বলে ছেড়ে দিয়ে ডাক্তাররা ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলায় তিনি বাড়ি পৌঁছন। কিন্তু ভাইরাস বয়ে এনে থাকতে পারেন, এই ভয়ে দরজা খুলতে চায়নি মা, ভাই। হতাশ হয়ে মামাবাড়ি গেলে সেখান থেকেও ফিরে আসতে হয়। তখন পুলিশ এসে মধ্যস্থতা করে তাঁকে মঈদাগিন এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ভর্তি করায়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement