Kedarnath Temple: কেদারের মন্দিরে বসানো পাত সোনার না তামার? তদন্ত করতে উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন
Kedarnath: এরপরই কেদারনাথ মন্দিরে প্রায় ১২৫ কোটির তছরূপ অভিযোগের বিষয়টি যাচাই করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে।
দেহরাদুন: পবিত্র তীর্থক্ষেত্র কেদারনাথ মন্দিরে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ তুলেছেন মন্দিরের পুরোহিত। মন্দিরের মধ্যে যেখানে সোনার পাত বসানোর কথা ছিল, তার বদলে পিতলের পাত বসানো হয়েছে এমনটাই অভিযোগ, এই নিয়ে শোরগোলও শুরু হয়েছে। এরপরই কেদারনাথ মন্দিরে প্রায় ১২৫ কোটির তছরূপ অভিযোগের বিষয়টি যাচাই করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে।
রাজ্যের পর্যটন, ধর্ম ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সতপাল মহারাজ শুক্রবার বলেছেন যে তিনি সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিষয়ক সচিব হরিচন্দ্র সেমওয়ালকে গাড়ওয়াল কমিশনারের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ-স্তরের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সেমওয়ালকে তদন্ত কমিটিতে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি স্বর্ণকারদের অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন। রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে "অত্যন্ত সংবেদনশীল"। যেই দোষী প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সতপাল মহারাজ।
পুরোহিতের অভিযোগ, সোনার পাত বসানোর নামে যা বসানো হয়েছে, সেগুলি বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ঔজ্জ্বল্য হারাচ্ছে। ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ছে পিতলের রূপ। তাঁর অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারি। তাঁর অভিযোগ, গর্ভগৃহের ভিতর যে সোনার পাত বসানো হয়েছে, তা পরীক্ষা করা হয়নি।
এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে সামনে এসেছে। ত্রিবেদী সেখানে গর্ভগৃহের সোনার পাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই বিষয়ে মন্দির কমিটি ও আধিকারিকদের নিশানা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির সমিতি বা বিকেটিসি কিংবা প্রশাসন— এই কাজ যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। প্রতি বছর কয়েক কোটি মানুষ কেদারনাথ-বদ্রীনাথে পুজো দিতে যান। হিন্দু পীঠস্থানের অন্যতম হল কেদারনাথ-বদ্রীনাথ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি হওয়ায় সংস্কারের জন্য বেশ কিছুদিন মন্দির বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
মন্দির কমিটি যদিও পুরোহিতের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ত্রিবেদীর ভিডিও বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ায় রীতিমতো চাপে পড়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্দির সংস্কারের পাশাপাশি উন্নত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা হয়েছে ভক্তদের জন্য। তার ফলে কেদারনাথ মন্দিরে ভক্তদের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাফল্য কিছু মানুষ মেনে নিতে পারছেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেদারনাথ ধামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন- https://t.me/abpanandaofficial