Himachal Pradesh Rain: বিধ্বস্ত হিমাচলে মৃত ৮১, প্রাণহানি বাড়ছে উত্তরাখণ্ডেও, বানভাসি হওয়ার উপক্রম পঞ্জাব
Himachal Disaster: গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে হিমাচল প্রদেশে।
![Himachal Pradesh Rain: বিধ্বস্ত হিমাচলে মৃত ৮১, প্রাণহানি বাড়ছে উত্তরাখণ্ডেও, বানভাসি হওয়ার উপক্রম পঞ্জাব Himachal Pradesh Rain 81 dead Uttarakhand flash floods Punjab Several houses collapsed Himachal Pradesh Rain: বিধ্বস্ত হিমাচলে মৃত ৮১, প্রাণহানি বাড়ছে উত্তরাখণ্ডেও, বানভাসি হওয়ার উপক্রম পঞ্জাব](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/08/17/01816960dc42111ecdefdc1acca4dc5c1692276504230338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
শিমলা: একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েই চলেছে। তাতে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হিমাচলপ্রদেশে। বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা যেখানে ৭১ ছিল, বৃহস্পতিবার তা বেড়ে হয়েছে ৮১। তবে যেভাবে জায়গায় জায়গায় ধস নেমেছে, হড়পা বানের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বাড়িঘর, তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ধস এবং ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া মানুষজনকে উদ্ধারের কাজ চলছে এখনও। (Himachal Pradesh Rain)
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে হিমাচল প্রদেশে। তাতে কার্যত ওলটপালট হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। ধসে চাপা পড়ে, বাড়ি ভেঙে পড়ে, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বুধবার পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। বৃহস্পতিবার তা বেড়ে ৮১ হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩ জন নিখোঁজ বলে জানা যাচ্ছে। দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে ৫৭ জনের। (Himachal Disaster)
তবে এখই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি নেই বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আগামী কয়েক দিনও হিমাচলে বিক্ষিপ্ত এবং ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সবমিলিয়ে এ বছরই ভারী বর্ষণে হিমাচলে এখনও পর্যন্ত ২১৪ জন মারা গিয়েছেন। খোঁজ মেলেনি ৩৮ জনের। জুন মাসের শেষ দিক থেকে গত ৫৪ দিনে ৭৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে হিমাচলে। অন্যান্য বছর ১ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সাধারণত ৭৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। গত ৫০ বছরে রাজ্যে এত বৃষ্টি হয়নি।
আরও পড়ুন: Ladakh BJP: বৌদ্ধ কন্যার সঙ্গে পলায়ন, বিয়ে ছেলের, বাবাকে দল থেকে বহিষ্কার করল বিজেপি
রাজ্য়ের যে অঞ্চলগুলি সবচেয়ে বিপর্যস্ত, তার মধ্যে রয়েছে শিমলার সামার হিল, ফগলি, কৃষ্ণনগর। প্রবল বৃষ্টিতে একাধিক এলাকা ধসে গিয়েছে। উদ্ধারকার্য চলছে সেখানে। সামার হিল থেকে বৃহস্পতিবার একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। একই পরিস্থিতি পড়শি রাজ্য উত্তরাখণ্ডেরও। সেখানেও ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হয়ে চলেছে। উত্তরাখণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই দুই রাজ্যের পাশাপাশি, পঞ্জাবেও প্রকোপ বাড়ছে ভারী বর্ষণের। হোশিয়ারপুর, গুরদাসপুর, রূপনগর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পং এবং ভাখরা বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পর পরিস্থিতি আরও ভাল আকার ধারণ করেছে। পঞ্জাব সরকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। এই মুহূর্তে ভাখরা বাঁধে জলস্তর ১৬৭৭ এবং পং বাঁধের জরস্তর ১৩৯৮ ফুটে রয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)