লখনউতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হিন্দু মহাসভা নেতা রঞ্জিত বচ্চন
রবিবার সকালে তিনি যখন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন, তখন বাইকে করে এসে তাঁকে গুলি করে পালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।
নয়াদিল্লি: লখনউতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত বচ্চন। রবিবার সকালে তিনি যখন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন, তখন বাইকে করে এসে তাঁকে গুলি করে পালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে হজরতগঞ্জে সিডিআরআই-এর কাছে। গত ১৪ জানুয়ারি লখনউতে নতুন পুলিশ কমিশনারেট ব্যবস্থা চালু করে মু্খ্যমন্ত্রী য়োগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার। তারপর এটিই হল প্রথম বড় অপরাধের ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হজরতগঞ্জের গ্লোব পার্ক-এ এদিন প্রাতঃভ্রমণ সারছিলেন রঞ্জিত। সেই সময় তিনি আততায়ীদের গুলির নিশানায় আসেন তিনি। রঞ্জিত ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। তাঁর ভাই গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁকে কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। নিহত নেতার দেহ পাঠানো হয় পোস্ট-মর্টেমে। শুরু হয়েছে তদন্ত। এই ঘটনায় যোগী সরকারের ইস্তফা দাবি করেছে সমাজবাদী পার্টি। তাদের অভিযোগ, চলতি সরকারের আমলে রাজ্যে অপরাধমূলক ঘটনার প্রবণতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আদতে গোরক্ষপুরের বাসিন্দা রঞ্জিত লখনউয়ের ওসিআর বিল্ডিংয়ে। প্রসঙ্গত, গত চারমাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় হিন্দু নেতার হত্যা হল। এর আগে, গত ১৮ অক্টোবর দুই আততায়ীর হাতে নিজ দফতরে খুন হন হিন্দু সমাজ পার্টির কমলেশ তিওয়ারি। ফেসবুকে ফেক আইডি তৈরি করে নিহত নেতার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিল আততায়ীরা।