সংক্রমণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, সেখানে পুজোর অনুমতি কীভাবে দিলেন? রাজ্যকে প্রশ্ন আদালতের
বেঞ্চ বলেছে, ‘দুর্গাপুজো নিয়ে আমরা গর্বিত। কিন্তু তাই বলে কি যেভাবে ইচ্ছা টাকা দেওয়া যায়?’
কলকাতা: দুর্গাপুজোর ক্লাবগুলিকে দেওয়া অনুদান নিয়ে প্রশ্ন আদালতের। ‘অনুদান কি শুধু দুর্গাপুজোতেই দেয় সরকার? না কি অন্য উৎসবেও দেওয়া হয় ? ইদেও কি দেওয়া হয়েছিল?’ প্রশ্ন আদালতের।
দুর্গাপুজো উপলক্ষে পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান- সেপ্টেম্বর মাসে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, করোন আবহে অনেকেই বিজ্ঞাপন পাচ্ছে না। তাই পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা। সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বিলের ৫০ শতাংশ ছাড়।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন দুর্গাপুরের সিটু নেতা সৌরভ দত্ত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে তার শুনানি ছিল। সেখানে বেঞ্চ বলেছে, ‘দুর্গাপুজো নিয়ে আমরা গর্বিত। কিন্তু একইসঙ্গে আদালতের প্রশ্ন, ‘তাই বলে কি যেভাবে ইচ্ছা টাকা দেওয়া যায়? ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কি এই ভেদাভেদ করা যায়?’
আদালত যোগ করে, ‘সরকার বলছে টাকা দেওয়া হচ্ছে মাস্ক-স্যানেটাইজারের জন্য। সরকার তো নিজেই কিনে দিতে পারত।
সরকারের কাছে বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘সংক্রমণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সেখানে পুজোর অনুমতি কীভাবে দিলেন? সরকারের কাছে আদালত জানতে চায়, ‘কী কী সুরক্ষা বিধি মেনে চলছেন আপনারা? ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্লু-প্রিন্ট কী, তাও জানতে চাওয়া হয়।’
আদালতের মন্তব্য, ‘সব কাজ পুলিশ করলে ক্লাবকে টাকা দেওয়ার যুক্তি কী?