Train Accident:ভদ্রকের কাছে বেলাইন হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, বরাতজোরে বাঁচলেন যাত্রীরা
Derailed At Bhadrak: রাতের অন্ধকারে ফের ভয়াবহ ঘটনা। ভদ্রক স্টেশন ইয়ার্ডের কাছে বেলাইন হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। দ্বিতীয় কামরার সামনের চাকা লাইনচ্যুত হয়েই এই দুর্ঘটনা।
ভুবনেশ্বর: রাতের অন্ধকারে ফের ভয়াবহ ঘটনা। ভদ্রক (bhadrak) স্টেশন ইয়ার্ডের কাছে বেলাইন (derail) হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস (Howrah Bhubaneswar Jan Shatabdi Express)। দ্বিতীয় কামরার সামনের চাকা লাইনচ্যুত হয়েই এই দুর্ঘটনা। রেল সূত্রে খবর, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কী ঘটনা?
সন্ধে তখন ৫টা ৫০ মিনিট। একটি ষাঁড়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বেলাইন হয়ে যায় হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন খুরদা রোডের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার। সঙ্গে ছিলেন রেলের আরও কয়েক জন আধিকারিক। শুরু হয় মেরামতির কাজ। ইস্ট-কোস্ট রেলওয়ে সূত্রের খবর, একটি লাইন অক্ষত ছিল। পরে রেলের তরফে যে সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, তাতে জানানো হয়, ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত কামরাটিকে বাকি ট্রেনটি থেকে আলাদা করা গিয়েছে। তার পর ফের যাত্রাও শুরু করেছে সেটি। সিটিং তথা লাগেজের কামরাটি ছাড়া যাত্রিবাহী সবকটি কামরাই লাইনে ছিল বলে রেল সূত্রে খবর। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রেলের এই সেকশনে সাধারণত ডাবল লাইন থাকে। কাজেই এই ঘটনার জেরে যাতে বাকি পরিষেবা ধাক্কা না খায় বা ট্রেনের নির্ধারিত সূচিতে দেরি না হয়, সেই ব্যবস্থাও করা গিয়েছে। তবে যাত্রীদের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি, এটাই বড় রক্ষা বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকরা।
দুর্ঘটনার স্মৃতি...
রেলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান নেহাত কম নয়। গত জানুয়ারিতেই দোমহনিতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জনের, আহত অনেকে। রেল দুর্ঘটনা তদন্ত-রিপোর্টে তথ্য উঠে এসেছিল,নির্ধারিত দূরত্বের থেকে ৪ গুণ বেশি দূরত্ব পেরিয়েছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইঞ্জিন।পর্যাপ্ত পরীক্ষা ছাড়াই ১৮ হাজার কিমি পেরিয়েছিল ইঞ্জিন। সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার চলার পর পরীক্ষার কথা ইঞ্জিনের। ইঞ্জিনের ট্র্যাকশন মোটর ভাঙাতেই বিপত্তি, উল্লেখ রিপোর্টে। তা ছাড়াও ২৩ বছর আগে উত্তর দিনাজপুরের গাইসাল, ২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী বা সাঁইথিয়ায় রেল বিপর্যয়ের স্মৃতিও ভোলেননি অনেকে। ফলে ট্রেন বেলাইনের খবরেই আঁতকে ওঠেন এ রাজ্যের মানুষ।
তবে বরাতজোর এবারে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি, হয়নি প্রাণহানিও। সন্ধে ৭টা বেজে ১০ মিনিটে মেরামতির কাজ শেষ হয়, সাড়ে সাতটাই লাইনে 'ফিট' বলে ছাড়পত্র দেন আধিকারিকরা। ৮টা ৫ মিনিটে ফের চালু হয় ট্রেন।