India-Bangladesh News: গুলি-গ্রেনেডে অশান্ত সীমান্ত, BSF-এর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও বাংলাদেশের পাচারকারীরা
Bangladesh News: গরু পাচারে বাধা দিতেই BSF-এর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হল বাংলাদেশের নাগরিক। গুরুতর জখম হয়েছেন এক BSF কর্মী।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী এবং রাজা চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা, জলপাইগুড়ি: ফের সীমান্তে উত্তেজনা। এবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ সীমান্তে গরু পাচার ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত হল বিএসএফ। কর্তব্যরত BSF-এর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হল বাংলাদেশের পাচারকারীরা। পাল্টা গুলি চালালে মৃত্যু হল এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। এদিকে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
গরু পাচারে বাধা দিতেই BSF-এর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হল বাংলাদেশের নাগরিক। গুরুতর জখম হয়েছেন এক BSF কর্মী। পাল্টা BSF গুলি চালালে, মৃত্যু হল এক বাংলাদেশি পাচারকারীর। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ সীমান্তে। বিএসএফ সূত্রে দাবি, শুক্রবার মধ্যরাতে, কুকুরজান এলাকায় কাঁটাতার কেটে গরু পাচার চলছিল। তখন বাধা দেয় বিএসএফ। পাচারকারীদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু, জওয়ানদের উপর হামলা চালায় ১৫-২০ জনের দল। অস্ত্র কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। BSF-কে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। আত্মরক্ষার্থে, পাল্টা ১০ রাউন্ড গুলি চালায় জওয়ানেরা। ছোড়া হয় স্টান গ্রেনেডও। গুলিতেই মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। বাকিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। মৃতের নাম মহম্মদ আল আমিন।
ঘটনাস্থল থেকে ২টি গরু সহ লাঠি ও লোহার রডও উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, 'BSF আগের থেকে...এখন যেমন আছে, আরও সজাগ হওয়া উচিত। আরও যদি সজাগ হয়, আজকে ভারত থেকে বাংলাদেশ গরু যাবেই না। BSF-কে আরও সক্রিয় হতে হবে।'
জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, 'গরু পাচারের টাকা যদি না আসে না, তৃণমূল পার্টিটা চলবে না। BSF তো সীমান্তের একটা সীমিত জায়গার মধ্যে থাকে, বাইরের গরুটা যে রাস্তায় মাইল কে মাইল হেঁটে যাচ্ছে গরুগুলো, হেঁটে সীমান্তে নিচ্ছে, পুলিশ দেখে না?'
অন্যদিকে, মালদার মাটিতে দাঁড়িয়ে সীমান্তে নিরাপত্তার জন্য কাঁটাতার লাগানোর দাবিতে সোচ্চার হলেন ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জমি না দেওয়ারও অভিযোগ তুললেন তিনি। পাল্টা বিধায়ককে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের সদিচ্ছা নেই করার, সদিচ্ছা থাকলে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতেন। মুখ্যমন্ত্রী দরাজ হাতে দিয়ে দিত।' সব মিলিয়ে সীমান্ত নিয়ে রাজনৈতিক তরজা থামছে না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে






















