(Source: DV Research)
Bunker Buster' Missile : অগ্নি-৫-কে ধ্বংসাত্মক রূপ দিচ্ছে DRDO, বাঙ্কার বাস্টার মিসাইল উন্নত করছে ভারত
Iran-Israel Conflict: সম্প্রতি ইরানের ৩টি পারমাণবিক কেন্দ্রে B-2 স্টিলথ বোমারু বিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ফোরদোতে ৬টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা ফেলা হয়।

নয়াদিল্লি : বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতি ভালো নয়। একাধিক দেশ বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। কমবেশি অনেক দেশই পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা ভেবে নিজেদের সামরিক শক্তিতে শান দিচ্ছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে নয়া পদক্ষেপ ভারতেরও। এবার নতুন শক্তিশালী মিসাইল সিস্টেম তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যা ভূতলে সুরক্ষিত শত্রুপক্ষের টার্গেটও ভেদ করতে সক্ষম হবে। গত ২২ জুন ফর্ডো পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে আমেরিকা GBU-57/A ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর মোতায়েন করে। এই পরিস্থিতিতে ভারতও উন্নত বাঙ্কার-বাস্টার ক্ষমতা উন্নত করার জন্য নিজস্ব প্রচেষ্টা বাড়াচ্ছে।
অগ্নি-৫ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ তৈরি করছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। যা মূল সংস্করণটির থেকে আলাদা, যার পাল্লা ৫০০০ কিলোমিটারেরও বেশি এবং সাধারণত পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করে। নতুন সংস্করণটি হবে একটি প্রচলিত অস্ত্র যা ৭৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের বিশাল বাঙ্কার-বাস্টার ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম হবে। শক্তিশালী কংক্রিটের স্তরের নীচে চাপা থাকা শত্রুপক্ষের কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত করার জন্য তৈরি, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরণের আগে ৮০ থেকে ১০০ মিটার ভূগর্ভে প্রবেশ করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতার সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সম্প্রতি আমেরিকা ইরানের পারমাণবিক পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের জন্য ১৪টি GBU-57s - বিশ্বের বৃহত্তম প্রচলিত বাঙ্কার-বাস্টার বোমা - ব্যবহার করেছে। এই পরিকল্পনা এই অঞ্চলে কৌশলগত পরিকল্পনাকে নতুন করে রূপ দিতে পারে।
সম্প্রতি ইরানের ৩টি পারমাণবিক কেন্দ্রে B-2 স্টিলথ বোমারু বিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ফোরদোতে ৬টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা ফেলা হয়। এ ছাড়াও হামলা চালানো হয় নাতানাজ ও ইসফাহানে। রাজধানী তেহরান থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দক্ষিণে নাতানাজ পারমাণবিক কেন্দ্রেই রয়েছে ইরানের ইউরেনিয়ামের বৃহত্তম ভাণ্ডার। কোমের কাছে ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র পাহাড়ে ঘেরা। মাটির প্রায় ৮০-৯০ মিটার গভীরে এই পারমাণবিক কেন্দ্র। অন্যদিকে, মধ্য ইরানে অবস্থিত ইসফাহানে রয়েছে সে দেশের বৃহত্তম পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র। চিনের সহযোগিতায় ১৯৮৪ সালে এই পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র চালু হয়েছিল বলে জানা যায়। এই ঘটনার পর ইরান অবশ্য থেমে যায়নি। পাল্টা প্রত্যাঘাতের হুঙ্কার ছাড়ে। সেইমতো পদক্ষেপও নেয় তারা। এই মুহূর্তে অবশ্য ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষবিরতি রয়েছে।























