হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন: সিদ্ধান্তের বিরোধিতা ভারতের, সুর নরম হু-র
ভারতের চিঠি পেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এইচসিকিউ প্রয়োগ-সম্পর্কিত তথ্য় চেয়ে পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের (এইচসিকিউ) প্রয়োগ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক লিখিত আকারে বিশ্ব সংস্থার সিদ্ধান্তের সঙ্গে মতবিরোধ প্রকাশ করে। এরপরই, কার্যত সুর নরম করে হু জানিয়ে দিল, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন রিভিউ রিপোর্ট পেশ করা হবে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মনে হচ্ছে এইচসিকিউ-র যাবতীয় নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার বিচার না করেই এর প্রয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবারই এইচসিকিউ প্রয়োগ বন্ধ করার নির্দেশ জারি করে হু। ঠিক এর কয়েকদিন আগেই এইচসিকিউ-এর ব্যবহারের পরিধি বৃদ্ধি করে তাকে প্রফাইল্যাক্সিস বা সতর্কতামূলক চিকিৎসা হিসেবে তুলে ধরেছিল ভারত। এইচসিকিউ-র ব্যবহারের পরিধি বৃদ্ধি করতে কোভিড ও নন-কোভিড অঞ্চলে কর্মরত পুলিশ-চিকিৎসকের মতো করোনা যোদ্ধার পাশাপাশি আরও বেশি বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছিল। ফলে, হু-এর ঘোষণা আসা মাত্রই কেন্দ্র দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেয়। সূত্রের খবর, ভারতের চিঠি পেয়ে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এইচসিকিউ প্রয়োগ-সম্পর্কিত তথ্য় চেয়ে পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা রিভিউ রিপোর্ট প্রকাশ করবে। এই মর্মে একটি ট্যুইটও করে হু। সেখানে তারা বলে, সাময়িকভাবে এইচসিকিউ-র ব্যবহার স্থগিত রাখা হয়েছে। বিশেষ কমিটি তথ্য পর্যালোচনা করছে। মঙ্গলবারও, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর তরফে জানানো হয় যে, সতর্কতামূলক চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে তারা এইচসিকিউ-র প্রয়োগকে সুপারিশ করছে। তাদের দাবি, মাঝেমধ্যে বমি, বমিভাব, ধড়ফড়ানি ভাব আসে। তবে, এর বাইরে কোনও বিশেষ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্রসঙ্গত, হু-এর নেতৃত্বে চালু হওয়া কোভিড-১৯ চিকিৎসার খোঁজ করতে চারটি ওষুধ নিয়ে 'সলিডারিটি ট্রায়াল' চলছে বিশ্বে। সেই পরীক্ষার অংশীদার ভারতও। ভারতে যে চারটি ওষুধের পরীক্ষা চলছে, সেগুলি হল -- রেমডেসিভির, এইচসিকিউ, লোপানাভির-রিতোনাভির এবং লোপানাভির-ইন্টারফেরন।