Bihar : পুলিশের চর সন্দেহে একই পরিবারের চার সদস্যকে খুন করে গাছে ঝোলাল মাওবাদীরা
Bihar Naxals Hanged four Villagers : গত ১৬ মার্চ এনকাউন্টারে চার মাওবাদীকে খতম করে পুলিশ। এই ঘটনাকে "ষড়যন্ত্র" মনে করে পাল্টা জবাব দিতে গ্রামে হামলা চালায় মাওবাদীরা
গয়া : বিহারের গয়ায় মাওবাদী হামলা। পুলিশের চর সন্দেহে একই পরিবারের চার সদস্যকে খুন করে ঝুলিয়ে দিল মাওবাদীরা। গতরাতে বিহারের গয়ার ডুমারিয়ার মানুয়ার গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
জেলার অন্যতম মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা এই ডুমারিয়া। খবর অনুযায়ী, সেখানে দুটি বাড়িকে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। গত সপ্তাহে সেখানে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তারই জবাবে মাওবাদীর দুটি বাড়ি উড়িয়ে দেয় বলে খবর।
গত ১৬ মার্চ এনকাউন্টারে চার মাওবাদীকে খতম করে পুলিশ। অমরেশ কুমার, সীতা কুমার, শিবপূজন কুমার ও উদয় কুমারকে খতম করা হয়েছিল। এই ঘটনাকে "ষড়যন্ত্র" মনে করে পাল্টা জবাব দিতে গ্রামে হামলা চালায় মাওবাদীরা। তাদের সঙ্গীদের নিকেশের 'বদলা' নিতে স্থানীয় সরযূ সিংহ ভোক্তার বাড়ি ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় গতরাতে। একই সময়ে সরযূর দুই সন্তান- সত্যেন্দ্র সিংহ ভোক্তা ও মহেন্দ্র সিংহ ভোক্তাকে, সঙ্গে স্ত্রী এবং অপর এক মহিলাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
ডুমারিয়ায় বাসিন্দা জয়রাম সিংহ ভোক্তা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, ডুমারিয়ার মানুবর গ্রামে জনা ২০-২৫ মাওবাদী ৪ গ্রামবাসীকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে, তাঁদের বাড়িতে বোমা মারে এবং মৃত্যুর স্লোগান তোলে। এর আগে মার্চে হুমকি দিতে এসেছিল।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিরিপিএফের(কোবরা) গয়ার এসএসপি আদিত্য কুমার ও সিটি এসপি রাকেশ কুমার। গোটা এলাকাকে ঘিরে দিয়ে তল্লাশি চলছে। আদিত্য কুমার জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে গোলমাল পাকাতে এই হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা।
খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে তাদের এনকাউন্টারের জন্য এই পরিবারকেই 'দোষী' মানে মাওবাদীরা। এই পরিবারের কাছ থেকেই মাওবাদীদের সম্পর্কে খবর গেছে বলে তাদের সন্দেহ।
এদিকে অপর একটি ঘটনায় বিহারের মধুবনিতে জাতীয় সড়ক থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার নিখোঁজ যুবকের অর্ধদগ্ধ দেহ। খুনের অভিযোগ দায়ের পরিবারের। মৃতের নাম বুদ্ধিনাথ ঝা ওরফে অবিনাশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর তেইশের যুবক। চারদিন পর, মধুবনীতে জাতীয় সড়কের ওপর তাঁর অর্ধদগ্ধ দেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় মেলে। পরিবারের দাবি, গত কয়েকবছর ধরে এলাকায় নার্সিংহোমগুলির বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে সরব ছিলেন বুদ্ধিনাথ। সেই কারণেই খুন বলে পরিবারের অভিযোগ।