Chidambaram on Modi : 'বাংলা জয়ের যুদ্ধের মাঝে করোনার জন্য ভাবার জন্য ধন্যবাদ' , প্রধানমন্ত্রীকে চিদাম্বরমের কটাক্ষ
'' এভাবে কি কোনো প্রধানমন্ত্রী কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে সম্বোধন করতে পারেন ? আমি ভাবতে পারিনা জওহরলাল নেহরু বা মোরারজি দেশাই বা বাজপেয়ি এই ধরনের ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে সম্ভাষণ করছেন । '' লিখেছেন চিদাম্বরম
নয়াদিল্লি : বিধানসভা নির্বাচন শুরুর আগে থাকতেই বাংলায় বারবার প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । ভোট চলাকালীন বাংলার বিভিন্ন জায়গায় হয়ে চলেছে মোদির সভা । বঙ্গে বিজেপি প্রচারের জন্য কেন্দ্র থেকে বারবার বিভিন্ন নেতাদের আগমন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। একই সুর শোনা গিয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তরফে । এবার বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচার নিয়ে সমালোচনায় প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম ।
রবিবার তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এই বলে খোঁচা দেন যে, '' তবুও তিনি পশ্চিমবঙ্গের জরুরি লড়াইয়ের মাঝে একটু সময় বার করেছেন করোনা পরিস্থিতির কথা ভাবার জন্য ''। শুধু তাই নয় চিদাম্বরম মোদির '' দিদি ও দিদি '' সম্বোধন নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি চিদাম্বরম।
নিজের টুইটারে তিনি লেখেন, ''ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী বাংলা জরুরি যুদ্ধের মাঝে ও বাংলাকে বিজেপি সাম্রাজ্যের সাথে যুক্ত করার চেষ্টার মাঝে আপনি করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবেছেন ''।
অন্যদিকে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার সঙ্গে মাস্ক পরার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই আবহে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী জেলায় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবারের হিসেব অনুযায়ী বারাণসীতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৬৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী দেশে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেন । এই এই মিটিং নিয়েই চিদাম্বরমের কটাক্ষ।
মোদির '' দিদি ও দিদি '' সম্ভাষণ নিয়ে মুখ খুললেন চিদাম্বরম । তিনি বলেন, '' এভাবে কি কোনো প্রধানমন্ত্রী কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে সম্বোধন করতে পারেন ? আমি ভাবতে পারিনা জওহরলাল নেহরু বা মোরারজি দেশাই বা বাজপেয়ি এই ধরনের ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে সম্ভাষণ করছেন । ''
অপর একটি টুইটে চিদাম্বরম বলেন , '' বেশিরভাগ হাসপাতালের সামনে এখন নো ভ্যাকসিন বোর্ড টাঙানো । অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করছেন কোথাও ঘাটতি নেই । তিনি আরও লেখেন, '' বিশ্বাস করুন কোনও হাসপাতালে ভ্যাকসিন, অক্সিজেন, রেমডিসিভির, ডাক্তার, নার্স কোনও কিছুর ঘাটতি নেই শুধুমাত্র কমতি আছে রোগীর ! ''