Congress Crisis: কংগ্রেসের দায়িত্বে কি ফের রাহুল! পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবির পর দিল্লিতে জরুরি বৈঠক কংগ্রেসের, ইস্তফা দিতে পারেন সনিয়া
Congress Crisis: একের পর এক রাজ্যে ধরাশায়ী হয়ে চলা কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই প্রশ্নের মুখে।
![Congress Crisis: কংগ্রেসের দায়িত্বে কি ফের রাহুল! পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবির পর দিল্লিতে জরুরি বৈঠক কংগ্রেসের, ইস্তফা দিতে পারেন সনিয়া Congress Crisis: Rahul Gandhi Should Be Congress Chief, hints party leadership Congress Crisis: কংগ্রেসের দায়িত্বে কি ফের রাহুল! পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবির পর দিল্লিতে জরুরি বৈঠক কংগ্রেসের, ইস্তফা দিতে পারেন সনিয়া](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/03/13/1835bf3be2bb8f5e2f700cfed84c3f4a_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: দেশের প্রাচীনতম দলকে হিমঘরে পাঠানোর দাবি উঠছে। তার মধ্যেই কংগ্রেসে (Congress) নেতৃত্ববদলের জল্পনা। নবীন ব্রিগেডকে সামনে রেখেও পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে (Five State Assembly Elections 2022) ভরাডুবি আটকানো যায়নি। তা নিয়ে রবিবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) বৈঠক চলছে। সেখানেই নেতৃত্ববদলের সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়তে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এমনকি সভাপতি পদে ফের রাহুল গাঁধীকে (Rahul Gandhi) ফেরানো হতে পারে বলেও জল্পনা। অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi)।
বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। তিনি বলেন, "রাহুল গাঁধীরই সভাপতি হওয়া উচিত। গত তিন দশকে গাঁধী পরিবার থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হননি। কংগ্রেসে ঐক্য ধরে রাখতে গাঁধী পরিবারের গুরুত্ব বুঝতে হবে।"
একের পর এক রাজ্যে ধরাশায়ী হয়ে চলা কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই প্রশ্নের মুখে। কিন্তু গহলৌতের মতে, "বিভাজনের রাজনীতি করা সহজ। নেটনাধ্যমে কংগ্রেসকে মুসলিম দল হিসেবে দাগিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে বিজেপি। কিন্তু দেশের অখণ্ডতা এবং ঐক্য ধরে রাখাই আমাদের আদর্শ। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বের পরিবর্তে আজকাল নির্বাচনে ধর্মকেই বেশি গুরুত্ব দেয় বিজেপি।"
আরও পড়ুন: TMC: বালিগঞ্জে প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিন্হা, ট্যুইট করে ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। নির্বাচনী পরাজয়ের দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন। তার পর থেকে অন্তর্বর্তী সভাপতির দায়িত্ব সামলে আসছেন সনিয়া। রাজীব-পত্নীর নেতৃত্বগুণ নিয়ে সন্দেহ না থাকলেও, দলে সর্বক্ষণের সভাপতি নিয়োগের দাবি উঠছে বেশ কয়েক বছর ধরেও। তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিদ্রোহী ঘোষিত হন দলের একাংশ।
ওই বিদ্রোহীদের বাদ দিয়েই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে একেবারে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তাতেও বিপর্যয় আটকানো যায়নি। পাঞ্জাবে দলিত মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী রেখেও জনসমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে দল। তার জন্য দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বহীনতাকেই দায়ী করছেন কংগ্রেসের একাংশ। তাতেই নতুন করে নেতৃত্ববদলের দাবি উঠছে। এমনকি গাঁধী পরিবারের বাইরের কারও হাতেও দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে কয়েক জনকে। সেই পরিস্থিতিতে এ দিন দিল্লিতে বৈঠকে কংগ্রেস। শোনা যাচ্ছে, সেখানে গাঁধী পরিবারের সদস্যরা ইস্তফা দিতে পারেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)