Congress to take stock of Agartala: রক্তাক্ত আগরতলা, ৩ সাংসদের প্রতিনিধিদল পাঠাবে কংগ্রেস
Congress to send representatives: আগরতলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৩ সাংসদের প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে কংগ্রেস। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই অশান্তি শুরু হয় সেখানে। অভিযুক্ত বিজেপি।
ত্রিপুরা: উপনির্বাচনের (bypoll) ফল প্রকাশ হতেই রক্তাক্ত ত্রিপুরা (tripura)। এবার আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রটি কংগ্রেসের (congress)ঝুলিতে গিয়েছে। অভিযোগ, তার পরই তাণ্ডব(violence) শুরু করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি পরিদর্শনে তিন সাংসদের প্রতিনিধিদল (mp representative) পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে হাতশিবির।
প্রতিনিধিদলে কারা?
লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে পুরো হাল হকিকত দেখে প্রতিনিধিদল। গৌরব গগৈ ও নাসের হুসেনেরও থাকার কথা দলটিতে। আগামী সোমবার আগরতলা আসছেন তাঁরা। সবটা দেখে রিপোর্ট জমা দেবেন শীর্ষনেতৃত্বের কাছে।
অশান্তির বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস...
তবে অশান্তির জন্য এর মধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে ক্ষমা চাইতে বলেছে কংগ্রেস। আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে হাতচিহ্নের হয়ে লড়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মন। কাঁটে কা টক্কর হয় ওই কেন্দ্রে। তবে শেষমেশ দেখা যায়, বিজেপি প্রার্থীকে ৩ হাজার ১৬৩ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন সুদীপ। এর পরেই গণ্ডগোল শুরু। আগরতলায় প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের সামনে তাণ্ডব চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ কংগ্রেসের। গুরুতর চোট লাগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহার। পরিস্থিতি দেখতে ছুটে আসেন সদ্যজয়ী বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
অশান্তির নিন্দা করে টুইট করে ওয়েনাডের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। লেখেন, 'মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাণ্ডব না থামিয়ে পুলিশ যে ভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে ছিল, লজ্জাজনক! বিজেপির গুন্ডাদের শাস্তি হওয়া উচিত।' কড়া প্রতিক্রিয়া আসে দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপালের তরফেও। বলেন, 'সরকার যদি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি না সামলাতে পারে তা হলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত।' এর পরই প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনে আসার ঘোষণা।
উল্লেখ্য, উপনির্বাচনে যে ৪ বিধানসভা আসনে লড়াই হয়েছিল তার তিনটিতেই জিতেছে বিজেপি। একটি কংগ্রেসের ঝুলিতে গেলেও বাম শিবিরে রক্তক্ষয় চলছেই। চারটিতেই চতুর্থ তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের এমন পারফরম্যান্সে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা দেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন:বন্যাদুর্গতদের সকলের কাছে পৌঁছতে পারিনি, কবুল অসমের মুখ্যমন্ত্রীর