Health Ministry Advisory: কত দিনের নিভৃতবাস, কখন করোনা পরীক্ষা করানো উচিত, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
Health Ministry Advisory: কোভিড সংস্পর্শে এসেছেন অথচ কোনও উপসর্গ নেই, সে ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই।
নয়াদিল্লি: অতি সংক্রামক ওমিক্রনের (COVID Variant Omicron) প্রকোপে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ (Daily COVID Cases)। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত উপসর্গহীন (Asymptomatic COVID Patients)। মৃদু উপসর্গ রয়েছে কারও কারও। এমন পরিস্থিতিতে নিভৃতবাস (Home Isolation) এবং করোনা পরীক্ষা (COVID Test) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা সামনে আনল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। তাতে সাত দিনে নিভৃতবাস শেষ করার অনুমোদন যেমন রয়েছে, তেমনই উপসর্গহীনদের করোনা পরীক্ষা না করোনাতও সায় দিয়েছে কেন্দ্র।
শুক্রবার প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এলে, সাত দিন অন্তত বাড়িতে নিভৃতবাস কাটাতেই হবে। ওই সময়ে পর পর তিন দিন যদি জ্বর না থাকে, সে ক্ষেত্রে সাত দিন পরই নিভৃতবাস শেষ করে বেরিয়ে আসতে পারবেন রোগী। সে ক্ষেত্রে ফের করোনা পরীক্ষার করানোর কোনও প্রয়োজন নেই।
মৃদু বা মাঝারি উপসর্গ থাকা রোগী বাড়িতে নিভৃতবাস কাটাতে পারবেন। ষাটোর্ধ্ব রোগী এবং যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, একমাত্র চিকিৎসক সায় দিলে তবেই বাড়িতে নিভৃতবাস কাটাতে পারবেন তাঁরা।
কোভিড সংস্পর্শে এসেছেন অথচ কোনও উপসর্গ নেই, সে ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই।
বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যেমন—
বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে একেবারে আলাদা থাকতে হবে। তাই একটি ঘর বরাদ্দ করতে হবে রোগীর জন্য়। বয়স্ক এবং কোমর্বিডিটি থাকা মানুষ, বিশেষ করে হাইপারটেনশন, কার্ডিয়োভাস্কুলার রোগীদের আক্রান্তের ধারেকাছে আসতে দেওয়া যাবে না।
যে ঘরে রোগী থাকবেন, সেই ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করে যেন। জানলা খোলা রাখতে হবে, যাতে তরতাজা হাওয়া ঘরে ঢুকতে পারে। ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরে থাকতে হবে সংক্রমিতকে। ৮ ঘণ্টা ব্যবহার করা হয়ে গেলে, সেই মাস্ক আর ব্যবহার করা যাবে না। ফেলে দিতে হবে। ভেজা এবং নোংরা মাস্কও ব্যবহার করা যাবে না। রোগীর সেবায় কেউ নিযুক্ত থাকলে, ঘরে ঢোকার সময় তাঁকে এবং রোগীকে এন-৯৫ মাস্ক পরতে হবে।
আরও পড়ুন: Corona Medicine: নষ্টের মুখে হাজার হাজার করোনার ওষুধ, স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি বেলেঘাটা আইডির
মাস্ক ফেলে দেওয়ার আগে তা কুটি কুটি করে ছিঁডে় ফেলতে হবে। তার পর কাগজে মুড়ে ৭২ ঘণ্টা রেখে তবেই ফেলা যাবে সেটি। সংক্রমিতের বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। শরীরে জলের জোগান স্বাভাবিক রাখতে বেশি করে জলপান করতে হবে। ঘন ঘন হাত ধোওয়া যেমন জরুরি, তেমনই সাবান দিয়ে অন্তত ৪০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে সংক্রমিতকে। অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।
সংক্রমিত এবং বাড়ির অন্য সদস্যরা একই থালাবাসন ব্যবহার করতে পারবেন না। টেবলটপ, দরজার হাতল, যেখানে সবচেয়ে বেশি হাত যায়, সেগুলি সাবান, ডিটারজেন্ট পাওডার দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। রোগী অথবা তাঁর সেবায় নিযুক্ত ব্যক্তি এই কাজ করতে পারেন। তবে গ্লাভস এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
সঙ্গে পাল্স অক্সিমিটার রাখতে হবে সংক্রমিতকে, যাতে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রার ওঠাপড়ায় নজর রাখতে পারেন তিনি। শরীরের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করতে হবে সময় বিশেষে। কোনও রকম অস্বাভাবিকতা চোখে পড়লে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )