Covid19 Update: আসল পরিসংখ্যান ঢাকা পড়ে যাচ্ছে না তো! সেল্ফ টেস্ট কিটের বিক্রি ঘিরে উদ্বেগ
Covid19 Update: বিশেষজ্ঞদের মতে, কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে করোনা পরীক্ষা করে নিচ্ছেন অনেকে। এর ফলে সঠিক আক্রান্তের সংখ্যা যেমন ধরা পড়ছে না, তেমনই আক্রান্ত কার কার সংস্পর্শে আসছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না।
নয়াদিল্লি: জ্বর-সর্দি বা অন্য উপসর্গে আর বাড়িতে লোক ডেকে কোভিড পরীক্ষা (COVID Test) করাচ্ছেন না কেউ। বরং দোকান থেকে কিট (Self Test Kit) কিনে এনে নিজেই পরীক্ষা করে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বেসরকারি ল্যাবরেটারি মালিকদের সংগঠন শুক্রবার এমনই দাবি করেছে। দোকান থেকে যে হারে কোভিড সেল্ফ-টেস্ট কিট বিক্রি হচ্ছে, তা থেকেই এমন মনে করছে সংগঠন।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ করে দিল্লিতে হু হু করে বিকোচ্ছে সেল্ফ-টেস্ট কিট, যার মাধ্যমে বাড়িতে সরঞ্জাম কিনে এনে নিজেই করোনা পরীক্ষা করে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর ফলে, আরটি-পিসিআর (RT-PCR Test) পরীক্ষার হার কমেছে। তার জেরে ল্যাবরেটরিগুলিতেও আগের মতো নমুনা পরীক্ষার জন্য আসছে না। ল্যাবরেটরি মালিক সংগঠনের দাবি, বাড়িতে লোক ডেকে পরীক্ষা করানোর পরিবর্তে সেল্ফ-কিটের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছেন মানুষ।
কম খরচে, সহজে যাতে মানুষ শরীরে ভাইরাসের (COVID-19) উপস্থিতি বুঝতে পারেন, তার জন্যই সেল্ফ-কিট আনা হয়েছে বাজারে। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে করোনা পরীক্ষা করে নিচ্ছেন অনেকে। এর ফলে সঠিক আক্রান্তের সংখ্যা যেমন ধরা পড়ছে না, তেমনই আক্রান্ত ব্যক্তি কার কার সংস্পর্শে আসছেন, তা বোঝার উপায়ও থাকছে না। এর ফলে সংক্রমিতদের চিহ্নিত করে নিভৃতবাস, কোয়ারান্টিনে পাঠানোতেও সমস্যায় পড়ছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: Covid-19 booster dose: করোনা: ট্রান্সন্যাজাল বুস্টার ডোজের পরীক্ষার অনুমতি পেল ভারত বায়োটেক
বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক ডিএস রাণা। তিনি বলেন, ‘‘কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সামগ্রিক ভাবে কমছে। কিন্তু বাড়িতে পরীক্ষার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। আগের মতো পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর নয় বলে অনেকেই নিজে নিজে পরীক্ষার দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু তার উপর নজরদারি প্রয়োজন।’’
বিগত এক সপ্তাহের যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে ল্যাবরেটরি মালিক সংগঠন, তাতে দেখা গিয়েছে, দিল্লির ল্যাবরেটরিগুলিতে নমুনা আসার হার প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে দিনে ১২ হাজার নমুনা পরীক্ষার জন্য আসত, এখন তা ৯ হাজারের আশেপাশে রয়েছে।