Delhi Air Quality: দূষণের গ্রাসে দিল্লি, এখনও খারাপ রাজধানীর বাতসের মান
Delhi Air Quality: গুরুগ্রামের (Gurgaon) বায়ু মানের সূচক ৩৫৫। নয়ডাতে (Noida) বায়ু মানের সূচক ৩৯১। সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি এন্ড ওয়েদার ফরকাস্টিং এন্ড রিসার্চ অনুযায়ী এনসিআর-এ (NCR) বাতাসের মানও খারাপ।
নয়াদিল্লি: এখনও খারাপ পরিস্থিতি দিল্লির (Delhi) বাতাসের। বায়ু মানের পূর্বাভাস সংস্থা (Air Quality Forecast Agency) সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি এন্ড ওয়েদার ফরকাস্টিং এন্ড রিসার্চ বা SAFAR জানিয়েছে ৩৮৬ নম্বরে দাঁড়িয়ে বায়ু মানের সূচক (Air Quality Index)। পিএম ২.৫ (PM 2.5) অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৭টায় বায়ুমানের সূচক ছিল ৩৮৬ নম্বরে।
গুরুগ্রামের (Gurgaon) বায়ু মানের সূচক ৩৫৫। নয়ডাতে (Noida) বায়ু মানের সূচক ৩৯১। সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি এন্ড ওয়েদার ফরকাস্টিং এন্ড রিসার্চ অনুযায়ী এনসিআর-এ (NCR) বাতাসের মানও অত্যন্ত খারাপ। SAFAR জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বাড়তে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। দিল্লির বায়ু দূষণের কারণ হিসেবে ৮ শতাংশ দায়ী খড় পোড়ানো। ২৯ নভেম্বর থেকে বাতাসের মানের সামান্য উন্নতি হতে পারে বলে সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি এন্ড ওয়েদার ফরকাস্টিং এন্ড রিসার্চের পূর্বাভাস। তবে তার আগে ফের বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছতে পারে।
দিল্লির এক বাসিন্দা জানান, সকালে কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কম ছিল। একইসঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়। তাঁর দাবি, পার্শ্ববর্তী খড় পোড়ানোর জন্য আমাদের ভুগতে হচ্ছে। দ্রুত সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আরেক বাসিন্দার কথায়, রীতিমতো গ্যাস চেম্বারের মতো পরিস্থিতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, বায়ু মানের সূচকের শূন্য থেকে ৫০-র মধ্যে থাকলে ধরা হয় ভালো। ৫১ থেকে ১০০- মধ্যে সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০-র মধ্যে সহনীয় , ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে গুরুতর। দিল্লি সরকার আবারও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্মাণ কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২২ নভেম্বর থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। এদিকে আগামীকাল থেকে খুলছে স্কুল সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন ট্রাক সহ গাড়ি ঢোকা নিষিদ্ধ দিল্লিতে।
আরও পড়ুন: India Covid Update:দেশে কিছুটা কমল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আট হাজারের বেশি