Hyderabad:হায়দরাবাদে রোগীর কিডনি থেকে বের করা হল রেকর্ড ১৫৬ স্টোন!
Hyderabad Medical News:শহরের রেনাল কেয়ার ফেসিলিটি প্রীতি ইউরোলজি অ্যান্ড কিডনি হাসপাতালের চিকিৎসকরা কি হোল ওপেনিংয়ের মাধ্যমে এতগুলি স্টোন বের করেছেন।হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ কথা জানিয়েছেন।
হায়দরাবাদ: তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা সামনে এল। হায়দরাবাদের হাসপাতালে ৫০ বছরের এক রোগীর কিডনি থেকে ১৫৬ টি স্টোন বের করলেন চিকিৎসকরা। শহরের রেনাল কেয়ার ফেসিলিটি প্রীতি ইউরোলজি অ্যান্ড কিডনি হাসপাতালের চিকিৎসকরা কি হোল ওপেনিংয়ের মাধ্যমে এতগুলি স্টোন বের করেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ কথা জানিয়েছেন।
প্রীতি ইউরোলজি অ্যান্ড কিডনি হাসপাতালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ওই রোগীর বড়সড় কোনও অস্ত্রোপচারের পরিবর্তে ল্যাপ্রোস্কোপি ও এন্ডোস্কোপি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে একগুলি স্টোন বের করার ঘটনা এই প্রথম। তিন ঘণ্টা ধরে এই ল্যাপারোস্কোপি ও এন্ডোস্কোপি চালানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রোগী কর্ণাটকের হুবলির এক স্কুল শিক্ষক। তাঁর আচমকা পেটে ব্যথা হয়। চিকিৎসকরা স্ক্রিনিং করেন। স্ক্রিনিংয়ে তাঁর শরীরে রেনাল স্টোনের ক্লাস্টার (কিডনি স্টোন) ধরা পড়ে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই রোগীর ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল এক্সটোপিক কিডনির। কারণ, তা ইউরিনারি ট্র্যাকের স্বাভাবিক অবস্থানের পরিবর্তে ছিল তলপেটের কাছে ছিল। হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, কিডনির এই অস্বাভাবিক অবস্থানে অবশ্য সমস্যার কোনও কারণ নয়। কিন্তু এই অস্বাভাবিক এই অবস্থান থেকে স্টোন বের করার কাড ছিল যথেষ্ট চ্য়ালেঞ্জিং কাজ।
হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা ইউরোলজিস্ট চিকিৎসক চন্দ্রমোহন জানিয়েছেন যে, ওই রোগীর পেটে গত দুই বছরের ও বেশি সময় ধরে স্টোন তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু এর কোনও উপসর্গই ধরা পড়েনি এতদিন। এরপর আচমকা পেটে ব্যথার কারণে তিনি চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হন এবং তাঁর নানা ধরনের পরীক্ষানীরিক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাতেই তাঁর কিডনিতে বেশি মাত্রায় স্টোন থাকার কথা ধরা পড়ে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমরা বড়সড় অস্ত্রোপচারের পরিবর্তে স্টোন বের করার জন্য আমরা ল্যাপারোস্কোপি ও এন্ডোস্কোপি পদ্ধতি ব্যবহার করি।
ওই রোগী বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ। তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেছেন বলেও জানানো হয়েছে।