Ratha Yatra 2023 : রথযাত্রার সময় পুরীতে ওড়ানো যাবে না ড্রোন, নিয়ম অমান্যে কড়া শাস্তি!
নিরাপত্তার হেতু, এ বছর রথযাত্রার মরশুমে পুরীতে ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ।
পুরী : কানায় কানায় পূর্ণ সমুদ্রপাড়ের জগন্নাথ ধাম ( Jagannath Dham ) । ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে মুখরিত গোটা শহর। রথের রশি ছোঁয়ার মরিয়া চেষ্টা। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড়। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মুহূর্তগুলিকে ক্যামেরাবন্দি করতে চান অনেকেই। সেই সঙ্গে বহু গণমাধ্যমও ড্রোন উড়িয়ে জগন্নাথদেবের রথাযাত্রার মুহূর্তগুলি ধরে রাখতে চান। কিন্তু নিরাপত্তার হেতু, এ বছর রথযাত্রার মরশুমে পুরীতে ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ।
আগামী ২০ জুন জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। পুরী পুলিশের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে সোমবারই। এই নিষেধাজ্ঞা ১ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এই নিয়ম ভাঙলেই (The Drone Rules 2021) তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
পুরীতে রথযাত্রাকে ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। তাই উৎসবের সময় বাড়তে সতর্কতার প্রয়োজন অনুভব করছে পুরী প্রশাসন। পুলিশের এক অধিকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, "অনভিজ্ঞ ব্যক্তিরা অনিয়ন্ত্রিত ড্রোন ব্যবহার করলে তা ভক্তদের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এর আগে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। " শ্রীমন্দির, শ্রী গুন্ডিচা মন্দির, দেবদেবীর রথ ও ভক্তদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত, জানিয়েছে পুলিশ।
ডিজিসিএ- র দেওয়া (Director General of Civil Aviation) UIN (unique identification number) নম্বর ছাড়া কোনও ড্রোন ওড়ানো যাবে না। রথের সময় পুরীর জগন্নাথ মন্দির চত্বরকে রেড জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই মন্দির চত্বরে কাউকে ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। পুরীতে কারও সম্পত্তির ক্ষতি বা কোনও ব্যক্তির আঘাত লাগলে, তার জন্য দায়ী থাকবে ড্রোনের অনৈতিক ব্যবহার, জানিয়েছে পুলিশ।
ড্রোন ব্যবহার সংক্রান্ত অনুমতিপত্র বা বৈধ নথি যাচাই করার জন্য single window system থাকবে। জেলা পুলিশের হাতেই থাকবে একমাত্র ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তারা ড্রোন উড়িয়ে তারা নজর রাখবে।
এদিন গর্ভগৃহ থেকে ২২ ধাপে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে নামিয়ে আনা হয়। ২২ ধাপের তৃতীয় ধাপে শিবের দর্শন নেন জগন্নাথ। এরপর দুলিয়ে দুলিয়ে বাজনা বাজিয়ে বিগ্রকে তোলা হয় রথে....যা পহন্ডি নামে পরিচিত। পহন্ডির পর একে একে রথে তোলা হয় সুদর্শন, বলভদ্র, সুভদ্রা ও জগন্নাথদেবকে। এরপর পুরীর শঙ্করাচার্য এসে আরতি করেন। তারপর আসেন পুরীর রাজা । তারপরেই টান পড়ে রথের রশিতে। সাধারণ ভাষায় আমরা বলি রথের দড়ি। কিন্তু পুরাণ মতে, যে রশ্মি দিয়ে রথ টানা হয় সেটা আসলে শঙ্খচূড় নামেন এক সাপ। জগন্নাথের রথের রক্ষক হলেন গরুড়। এইঘটনার সাক্ষী থাকতে দেশ-বিদেশের বহু ভক্তের সমাগম হয়।