Enforcement Directorate: তছরুপের অভিযোগ, ইডি-র নজরে Vivo, দেশের ৪৪ জায়গায় তল্লাশি
Raid at VIVO: কোন অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নয়াদিল্লি: আরও এক চিনা মোবাইল সংস্থার (Chinese Mobile Company) কারখানা এবং দফতরে হানা তদন্তকারীদের। এ বার চিনা মোবাইল সংস্থা Vivo-র উপর নজর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর (ED) কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে দেশের ৪৪টি জায়গায় সংস্থার দফতর, সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কারখানায় তল্লাশি চালালেন তদন্তকারীরা। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং দক্ষিণের একাধিক রাজ্যে এই তল্লাশি অভিযান চলছে।
ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা Vivo
কোন অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ২০২০ সালে মেরঠ পুলিশের তরফে Vivo-র বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা দায়ের হয়েছিল। একই IMEI নম্বরে দেশে ১৩ হাজার ৫০০ মোবাইল ফোন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সেই সময়, যা ২০১৭ সালে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার জারি করা প্রত্যেক মোবাইল ফোনের পৃথক IMEI নম্বর নীতির পরিপন্থী। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছরের কারাবাসের বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: Railway New Service: যাত্রীদের ক্লান্তি দূর করবে 'স্লিপিং পডস', রেল আনল নতুন পরিষেবা
তবে Vivo-র বিরুদ্ধে এই প্রথম আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠল। এর আগে চিনের আর এক মোবাইল সংস্থা 'শাওমি'-র বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১৯৯৯ সালের সেই বিদেশি মুদ্রা আইনেই 'শাওমি'-র ৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে কর্নাটক হাইকোর্ট যদিও ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়। চিনা সংস্থা 'শাওমি গ্রুপ'ই 'শাওমি'-ফোনের মালিক। সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা টাকাই ইডি বাজেয়াপ্ত করে বলে জানা যায় সেই সময়।
একাধিক জায়গায় তল্লাশি
এর আগে, গত বছর ডিসেম্বর মাসেও Vivo-র একাধিক দফতরে হানা দেয় আয়কর দফতর। সেই সময় Oppo, OnePlus-এর দফতরেও হানা দেওয়া হয়। আয়কর ফাঁকি দেওয়ার খবর পেয়ে তল্লাশি চালানো হয় বলে জানিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। মুনাফা ঢেকে শুধু ক্ষতির অঙ্ক দেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এর আগে, গত বছর অগাস্টে চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ZTE-র পাঁচটি দফতরেও তল্লাশি চালানো হয়।