Hate Speech: ধর্ম সংসদের মঞ্চে ঘৃণা ভাষণ বরদাস্ত নয়, সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court warns of Hate Speech: গত বছর ডিসেম্বরে উত্তরাখণ্ডেরই হরিদ্বারে তিনদিন ব্যাপী একটি ধ্রম সংসদের মঞ্চ থেকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণের অভিযোগ সামনে আসে।
নয়াদিল্লি: ধর্ম সংসদের (Religious Conclave) নামে লোক জড়ো করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ (Hate Speech) বরদাস্ত করা হবে না বলে এ বার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বুধবার উত্তরাখণ্ডে একটি ধর্ম সংসদের আয়োজন হতে চলেছে। তার আগে রাজ্যের সরকারকে সতর্ক করল শীর্ষ আদালত। এমন কিছু ঘটলে রাজ্যের মুখ্যসচিব দায় এড়াতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হল। ঘৃণা ভাষণ রুখতে সবরকমের পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে রাজ্যের সরকারকে।
ঘৃণা ভাষণ নিয়ে সতর্ক করল সুপ্রিম কোর্ট
হরিদ্বার-সহ একাধিক জায়গায় সম্প্রতি ধর্ম সংসদের মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে। চলতি মাসের শুরুতে হিমাচল প্রদেশ থেকেও এমন অভিযোগ উঠে আসে। তাই আগেভাগেই সেই নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকারকে সতর্ক করল আদালত। আদালত জানিয়েছে, ঘৃণা ভাষণ রুখতে না পারলে রাজ্যের মুখ্যসচিব দায় এড়াতে পারবেন না। আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
গত বছর ডিসেম্বরে উত্তরাখণ্ডেরই হরিদ্বারে তিনদিন ব্যাপী একটি ধ্রম সংসদের মঞ্চ থেকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণের অভিযোগ সামনে আসে। নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় ধর্ম সংসদের মঞ্চ থেকে সাধারণ মানুষকে কার্যত মুসলিম নিধনের নির্দেশ দিতে দেখা যায় তথাকথিত ধর্মগুরুদের। দীর্ঘ টালবাহানার পর সেই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রাজ্যের পুলিশ। তার যাত পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্যই রাজ্যকে সতর্ক করল সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: Jignesh Mevani Second Case: জামিন পাওয়া মাত্র ফের গ্রেফতার জিগনেশ, এ বার নিগ্রহ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ
এর আগে, সোমবারও একটি মামলার শুনানিতে ধর্ম সংসদে ঘৃণা ভাষণ নিয়ে হিমাচল প্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। আদালতের বক্তব্য ছিল, ‘‘এই ধরনের কার্যকলাপ রুখতে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আদৌ কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, তা আদালতকে জানাতে হেব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারকে।’’ এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করা হয় না কেন, এমন প্রশ্নও তোলে আদালত।
রাজ্যগুলিকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ
আদালতের মতে, এই ধরনের ঘটনা রাতারাতি ঘটে না। আগে সব পরিকল্পনা করা থাকে। সভাস্থল, সময়সূচি সবকিছু সম্পর্কে অবগত থাকে প্রশাসন। তার পরেো, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও এ নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করতে দেখা যায় না রাজ্য প্রশাসনকে।