Human Rights Day 2021:জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে মানবাধিকার দিবসে সতর্কবার্তা রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ইতিমধ্য়েই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই কঠোর বাস্তব সম্পর্কে সারা বিশ্বও সচেতন হচ্ছে। কিন্তু একটি বলিষ্ঠ পরিবর্তনের সংকল্প এখনও গড়ে ওঠেনি।
নয়াদিল্লি: বার্ষিক মানবাধিকার দিবসে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্ব দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেছেন, সুস্থ পরিবেশ ও জলবায়ুর অধিকার সুনিশ্চিত করা আমাদের সকলের পক্ষেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সতর্ক করে দিলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, প্রকৃতির অবনমন জলবায়ু পরিবর্তন কারণ হয়ে উঠেছে এবং তা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মহলে, বিশেষ করে আজকের দিনে, সুস্থ পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত অধিকার নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক করা উচিত।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ইতিমধ্য়েই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই কঠোর বাস্তব সম্পর্কে সারা বিশ্বও সচেতন হচ্ছে। কিন্তু একটি বলিষ্ঠ পরিবর্তনের সংকল্প এখনও গড়ে ওঠেনি।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, শিল্পায়নের খারাপ প্রভাব থেকে প্রকৃতি সুরক্ষিত করা খুবই প্রয়োজনীয়। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ পৃথিবী গড়তে তা খুবই প্রয়োজনীয়।
রাষ্ট্রপতি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, সময় চলে যাচ্ছে। দেশে এবং সম্প্রতি গ্লাসগো-তে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে ভারত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এতে আমি খুশি। বিশ্বের স্বাস্থ্য ফেরাতে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে। এই লক্ষ্যে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সৌর জোট ও গ্রিন এনার্জির ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্বদান একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, মানব সভ্যতার অগ্রগতির ক্ষেত্রে সমস্ত প্রতিকূলতা ভেঙে পথ অন্বেষণ ও যৌথভাবে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে মানবাধিকার দিবস একটি সঠিক সময়।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, মানবিক মর্যাদার ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হল বৈষম্যহীনতা। কিন্তু এক্ষেত্রে বিশ্বে কিছু ভ্রান্ত বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। আর এ ধরনের পূর্ব ধারনা দুর্ভাগ্যবশত ব্যক্তির পূর্ণ সম্ভাবনা বিকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায়। তা সামগ্রিকভাবে সমাজের স্বার্থেরও পরিপন্থী। এ ধরনের বাধা পার হওয়ার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টার ক্ষেত্রে মানবাধিকার দিবসের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
রাষ্ট্রপতি করোনা অতিমারীর প্রভাব সমাজের দুর্বল অংশকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন। তিনি বলেছেন, নিখরচায় টিকার নীতি গ্রহণ করে ভারত লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে।