Transgender Marriage: সাক্ষী রইলেন পরিবার-পরিজন, প্রেমদিবসেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন রূপান্তরকামী যুগল
Transgender Marriage: ২০১০ সালে প্রথম আলাপ তাঁদের। সেই সময় কেরলে সমকামী এবং রূপান্তরকামীদের নিয়ে আন্দোলন চলছিল।
তিরুঅনন্তপুরম: প্রেমের সামনে মাথা নোয়াল যাবতীয় চোখরাঙানি। প্রেমের দিনেই সম্পর্ককে পরিময়সূত্রে বাঁধলেন কেরলে (Kerala News) রূপান্তরকামী যুগল (Transgender Couple)। পরিবার এবং পরিজনদের সাক্ষী রেখেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন তাঁরা।
পরিবার এবং পরিজনদের সাক্ষী রেখেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন
সোমবার ছিল ভ্যালেন্টাইন্স ডে (Valentine's Day)। ওই দিনেই চার হাত এক হয়ে গেল শ্যামা এস প্রভা এবং মনু কার্তিকের। রীতিমত সানাই বাজিয়ে, মালা বদল করে, সাতপাক ঘুরে, সিঁদুরদান-সহ হিন্দু বিবাহের যাবতীয় রীতি নীতি মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তাঁরা।
পাত্র মনু ত্রিশূরের বাসিন্দা। টেকনো পার্কের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা শ্যামা কেরল সরকারের সামাজিক ন্যায় দফতরের রূপান্তরকামী বিভাগের কর্মী। আগামী দিনে আইনত বিয়ে নথিভুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের। ২০১৯ সালের রূপান্তরকামী সংরক্ষণ আইনে কেরল হাইকোর্টে সেই মতো আবেদন জানাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Puri Jagannath Temple: ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ছাড়াই ঢোকা যাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে
সোমবার শ্যামা এবং মনুর বিবাহের (Transgender Marriage) অনুষ্ঠানে হাজির ছিল স্থানীয় সংবাদমাধ্যমও। সেখানে মনু বলেন, ‘‘কাজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। তা সম্পূ্র্ণ হলেই কেরল হাই কোর্টে যাব আমরা।’’ তাঁদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন এবং বিপদে আপদে পাশে থাকার জন্য পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের ধন্যবাদ জানান দু’জনে। মনু বলেন, ‘‘এই দিনটার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে প্রতীক্ষা করেছিলাম আমরা। আজকের এই দিনে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের পাশে পেয়ে আনন্দিত আমরা।’’
পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের ধন্যবাদ জানান দু’জনে
প্রেম দিবসকেই কেন বিয়ের জন্য বেছে নিলেন তাঁরা? জবাবে শ্যামা বলেন, ‘‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে বিয়ের কোনও পরিকল্পনা ছিল না আমাদের। কিন্তু আমাদের বাবা-মা ঠিকুজি-কুষ্ঠি, পাঁজি দেখায় বিশ্বাস করেন। সে সব মিলিয়ে এই দিনটিই বিয়ের আদর্শ দিন বলে বিবেচিত হয়। আজকের দিনে শুধু একটাই কামনা যে, সব ধরনের ভালবাসা সমাজে বৈধতা পাক।’’
নবদম্পতি জানিয়েছেন, ২০১০ সালে প্রথম আলাপ তাঁদের। সেই সময় কেরলে সমকামী এবং রূপান্তরকামীদের নিয়ে আন্দোলন চলছিল। তার পর বন্ধুত্ব থেকে ক্রমশই ঘনিষ্ঠতায় গড়ায় সম্পর্ক। ২০১৭ সালে শ্যামাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মনু। কিন্তু দু’জনেই ভাই-বোনদের মধ্যে বড়। তাই সব দায়িত্ব পালন করে তবেই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করেন।