এক্সপ্লোর
Advertisement
Gyanvapi Mosque: আজ জ্ঞানবাপী মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, জেনে নিন ১০ অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
মে মাসে, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতে পাঠায়। আজ এই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত !
নয়াদিল্লি : কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে বিখ্যাত জ্ঞানবাপি মসজিদের অভ্যন্তরে উপাসনার অধিকার চেয়ে পাঁচ হিন্দু মহিলা মামলা করেন। তারপর থেকেই এই ইস্যু নিয়ে উত্তাল দেশ। শিবলিঙ্গ মিলেছে মসজিদ চত্বরে, দাবি হিন্দুপক্ষের, এমন কিছুই পাওয়া যায়নি, দাবি মুসলিম পক্ষের। এখন এই মামলাটি আদৌ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানান হবে বারাণসী আদালতে। জেলা বিচারক এ কে বিশ্বেশা এই মামলার ভবিষ্যৎ শোনাবেন। এই মামলাটি সম্পর্কে কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল -
- জেলা বিচারক এ কে বিশ্বেশা সম্ভবত সিদ্ধান্ত নেবেন যে মহিলাদের দ্বারা করা এই মামলা আদৌ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে নাকি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
- মে মাসে, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতে পাঠায়। তখনই এই মামলার ভার নিম্ন আদালত থেকে স্থানান্তরিত হয়।
- সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি শুনছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ ও বিচারপতি সূর্যকান্তর বেঞ্চ। জেলা আদালতে মামলা হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, স্পর্শকাতর এই মামলার শুনানির জন্য আরও অভিজ্ঞ বিচারবিভাগীয় আধিকারিকের প্রয়োজন। "বিষয়টির জটিলতা এবং সংবেদনশীলতাকে বিবেচনায় রেখে, বারাণসীতে দেওয়ানী বিচারকের সামনে এই দেওয়ানী মামলার শুনানি হবে। উত্তরপ্রদেশের বিচার বিভাগীয় পরিষেবার একজন সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ বিচার বিভাগীয় অফিসার এই মামলাটি শুনবেন।"
- এই মামলায় শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করার এক মাস আগে, বারাণসী দেওয়ানি আদালত জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিতর চিত্রগ্রহণ করতে নির্দেশ দেয়। কারণ, হিন্দু মহিলাদের দাবি ছিল, জ্ঞানবাপি মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে।
- মসজিদে চিত্রগ্রহণের একটি রিপোর্ট তারপরে একটি সিল কভারে বারাণসী আদালতে জমা দেওয়া হয়, কিন্তু হিন্দু আবেদনকারীরা বিতর্কিতভাবে কয়েক ঘন্টা পরে এই রিপোর্ট বিস্তারিত ভাবে সামনে আনে।
- প্রতিবেদনে দাবি করা হয় , মসজিদ চত্বরের মধ্যে একটি পুকুরে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। ওই জলাশয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা প্রার্থনার আগে "ওয়াজু" বা শুদ্ধিকরণ আচারের জন্য ব্যবহার করে। তখন ওই মামলার দায়িত্বে থাকা বিচারক পুকুরটি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
- শতাব্দী প্রাচীন মসজিদের ভিতরে এই ভিডিওগ্রাফি করার বিষয়টিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি।
- তাদের তরফে জানানো হয়, চিত্রগ্রহণটি ১৯৯১ সালে প্রণীত উপাসনার স্থান আইনের বিরুদ্ধে যায়।
- মসজিদ কমিটির যুক্তি ছিল, "এই ধরনের আবেদন এবং মসজিদগুলি সিল করা জনসাধারণের মধ্যে অন্যায় করার প্রবণতা বাড়াবে এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করবে, যা সারা দেশের মসজিদগুলিকে প্রভাবিত করবে।"
- মসজিদ কমিটি বারাণসী জেলা বিচারকের আদালতের সামনেও একইরকম যুক্তি দেয়। হিন্দু আবেদনকারীদের আইনজীবী দাবি করেন , আইন তাঁদের করা এই মামলাকে বাধা দিতে পারে না। স্বাধীনতা দিবসে এই স্থান যখন খোলা হয়, তখন এটি মন্দিরই ছিল, তা প্রমাণ করা সম্ভব।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement