Lakhimpur Kheri Case Hearing:মাত্র ৪ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড কেন? লখিমপুর-তদন্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশ সরকার
উত্তরপ্রদেশ সরকারকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘৩৪ জন সাক্ষী সত্ত্বেও মাত্র ৪ জনের বয়ান রেকর্ড কেন?’
নয়াদিল্লি: লখিমপুর হত্যা-তদন্তে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এদিন শুনানিতে ফের ঘটনার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। উত্তরপ্রদেশ সরকারকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘৩৪ জন সাক্ষী সত্ত্বেও মাত্র ৪ জনের বয়ান রেকর্ড কেন?’
সব সাক্ষীর বয়ান রেকর্ডে আরও সময় চাইল যোগী সরকার। তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট পেশে বিলম্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এ ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। আর এখন পেশ করা হল স্টেটাস রিপোর্ট।’
মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৬ অক্টোবর।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর কৃষকদের আন্দোলন চলাকালে হিংসায় চার কৃষক সহ আটজনের মৃত্যু হয়েছিল। এদিন মামলার শুনানিতে প্রবীণ আইনজীবী হরিশ সালভে উত্তরপ্রদেশে সরকারের পক্ষ থেকে জানান, মুখবন্ধ খামে স্টেটাস রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমান্না স্টেটাস রিপোর্ট পেশে বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সালভে মামলার শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত মুলতুবী রাখার আর্জি জানান। কিন্তু প্রথমে আদালত ওই অনুরোধ মানতে রাজি ছিল না।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের রিপোর্ট পর্যালোচনার পর বিচারপতিরা মন্তব্য করেছেন, ৩৪ জন সাক্ষী ছিল। কিন্তু মাত্র চার জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অন্য সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি কেন? রিপোর্টে কেন শুধু চার জনের বয়ান রয়েছে?
সালভে জানান, এই প্রক্রিয়া চলছে এবং সরকারের কিছুটা সময় প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আদালত সতর্ক করে দিয়ে বলে, মনে হচ্ছে এক্ষেত্রে গড়িমসি হচ্ছে। কোনওভাবেই যেন তা না হয়।
উল্লেখ্য, এই মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র সহ এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লিখেছিলেন দুই আইনজীবী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই হিংসার ঘটনা নিয়ে শুনানি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে।
কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালে একটি এসইউভি-র ধাক্কায় চার কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল। কৃষকরা ওই এলাকায় উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্যর সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেই সময়ও চার কৃষককে পিষে দেয় গাড়ি। এর পর দুই বিজেপি কর্মী, গাড়ি চালককে পিটিয়ে খুন করা হয় । এক স্থানীয় সাংবাদিকও ওই হিংসায় নিহত হয়েছিলেন।