Lalu Prasad Yadav : পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির পঞ্চম মামলায় ৫ বছরের জেল ও ৬০ লাখ টাকা জরিমানা লালুপ্রসাদের
Fodder Scam Case : এই মামলায় ২৪ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত।
নয়াদিল্লি: দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আগেই । এবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ( fodder scam case ) পঞ্চম মামলায় শাস্তি ঘোষণা করল আদালত। সোমবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৬০ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই সাজাঘোষণা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি (Fodder Scam) সংক্রান্ত একটি মামলায় নতুন করে দোষী সাব্যস্ত হন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। ডোরান্ডা ট্রেজারি কেস (Doranda treasury case) নামে পরিচিত এই মামলা। বেআইনিভাবে ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পশুখাদ্য মামলা এটি। এই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলেন লালু। এই মামলায় ২৪ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। ৩৫ জন অভিযুক্তের তিন বছরের কম সময়ের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারপতি এস কে শশী। সোমবার লালুর সাজা ঘোষণা করা হল।
১৯৯৬ সালে সিবিআই ডোরান্ডা পশুখাদ্য মামলায় মামলা দায়ের করে। ১৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তদের মধ্যে ৫৫ জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। সাতজন সরকার পক্ষের হয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালত রায় দেওয়ার আগেই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন দু’জন। এখনও ফেরার ৬ জন অভিযুক্ত। ৯৯ জন অভিযুক্তর সাজা ঘোষণা করবে আদালত। এই পশুখাদ্য মামলায় লালু ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, বিহারের তৎকালীন প্রাণীসম্পদ দফতরের সচিব ড. আর কে রানা, প্রাণীসম্পদ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কে এম প্রসাদ অভিযুক্ত।
এর আগে দুমকা, দেওঘর ও চাইবাসা ট্রেজারি সংক্রান্ত চারটি মামলায় মোট ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে লালুকে। তিনি অবশ্য পটনা হাইকোর্ট থেকে চারটি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন। কিন্তু নতুন করে আরও একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি।