Sameer Wankhede News:মাদক মামলায় নয়া মোড়, সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশের কাছে এফআইআর দায়েরের আর্জি আইনজীবীর
মুম্বই পুলিশের অন্য এক আধিকারিক বলেছেন, আমরা এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।
Aryan Khan Drugs Case: মুম্বইয়ে প্রমোদ তরীতে মাদক মামলায় নয়া মোড়। এবার নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আঞ্চলিক ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে ও আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় তোলাবাজির অভিযোগে এফআইআর দায়েরের জন্য মুম্বই পুলিশের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক এ কথা জানিয়েছেন। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন যে, আইনজীবী সুধা দ্বিবেদী এমআরও মার্গ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। একইসঙ্গে জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ (অপরাধ) মিলিন্ড ভরাম্বে ও রাজ্যের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগে দ্বিবেদী ওয়াংখেড়ে, প্রভাকর সেল, কেপি গোসাভি সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরর অনুরোধ জানিয়েছেন।
মুম্বই পুলিশের অন্য এক আধিকারিক বলেছেন, আমরা এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এনসিবি-র আঞ্চলিক ডিরেক্টর ওয়াংখেড়ে গতকাল রাতে হঠাৎ করেই দিল্লি পৌঁছন। যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে এনসিপি-র প্রধান দফতরের পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর ওয়াংখেড়ের দিল্লিতে যাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। মামলার তদন্ত করতে ডিজিপি জ্ঞানেশ্বর সিংহ। উল্লেখ্য, মুম্বই প্রমোদতরীকে মাদক বাজেয়াপ্ত মামলার তদন্ত করছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার অন্যতম এক সাক্ষী প্রভাকর সেল অভিনেতা শাহরুখ খানের থেকে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। উল্লেখ্য, প্রমোদতরীতে মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ক্রুজ মাদক মামলায় এক সাক্ষী প্রভাকর সেল সংবাদমাধ্যমে দেওযা এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন যে, এনসিবি-র এক আধিকারিক ফেরার সাক্ষী কেপি গোসাভি সহ অন্যান্যদের পক্ষ থেকে মাদক মামলায় আরিয়ানকে ছাড়তে ২৫ কোটি টাকার দাবি জানানো হয়েছিল।
প্রভাকর সেইল একটি হলফনামার মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন যে একটি খালি কাগজে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁর হলফনামার মাধ্যমে দাবি করেছেন যে এনসিবি যে রাতে ক্রুজে অভিযান চালায় সেই রাতে তিনি মূল সাক্ষী কেপি গোসাভির সঙ্গে ছিলেন। সেই নথিতেই তিনি এই আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, মাদককাণ্ডে গোসাভির সঙ্গে ১৮ কোটির চুক্তি হয়েছিল শ্যাম ডি’সুজা নামে এক ব্যক্তির। তা থেকে ৮ কোটি টাকা এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথা ছিল।