Holi 2022: জল অপচয়ের কথা শুধু হিন্দু উৎসবের সময়ই ওঠে কেন? 'সাংস্কৃতিক সন্ত্রাস চলছে দেশে', দাবি মন্ত্রীর
Holi 2022: শুধুমাত্র হোলির সময় জলের অপচয় নিয়ে মাথাব্যাথা দেখা যায় বলেও দাবি করেন বিশ্বাস।
ভোপাল: জলের অপচয় রুখতে হোলি বা দোলে (Holi 2022) আবিরেই রঙিন হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন পরিবেশ সচেতন মানুষ। কিন্তু এই ধরনের বার্তা আসলে হিন্দু উৎসবের (Hindu Festivals) উপর আঘাত ছাড়া কিছু নয় বলে মত মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh Minister) মন্ত্রী বিশ্বাস সারাংয়ের (Vishwas Sarang)। এই ধরনের মন্তব্য এবং বার্তা সাংস্কৃতিক সন্ত্রাস (Cultural Terrorism) ছাড়া কিছু নয় বলেও মত তাঁর।
হোলিতে জলের অপচয় (Save Water) রোখার কথা উঠলে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনেই এমন মন্তব্য করেন বিশ্বাস। তিনি বলেন, “হোলিতে কত আর জল খরচ হয়? সারা বছর বরং জল বাঁচান। আমাদের উৎসবের সময়ই কেন এই ধরনের কথা শোনা যায়?” দেশের যুবসমাজকে হিন্দু উৎসব থেকে বিমুখ করে তুলতেই এই ধরনের বার্তা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শুধুমাত্র হোলির সময় জলের অপচয় নিয়ে মাথাব্যাথা দেখা যায় বলেও দাবি করেন বিশ্বাস। তিনি বলেন, “আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের উপর এটি এ ধরনের হামলা। দেশে সাংস্কৃতিক সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছে। বেছে বেছে হিন্দু উৎসবের সময়ই পরিবেশের নামে এত হইচই করা হচ্ছে।” অথচ সারা বছর গাড়ি ধুয়ে সাফ করতে গ্যালন গ্যালন জল খরচ হয় বলেও অভিযোগ করেন ওই মন্ত্রী।
WATCH: Nehru is responsible for dipping economy and inflation: Madhya Pradesh Minister Vishwas Sarang. 🌻 pic.twitter.com/6HfKqjycuy
— Prashant Kumar (@scribe_prashant) July 31, 2021
আরও পড়ুন: Congress: জি-২৩ নেতাদের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগ কংগ্রেসের, হুডার মাধ্যমে পাঠানো হল প্রস্তাব
এ বছর বৃহস্পতিবার হোলি কা দহন পালিত হয়েছে। শুক্রবার বাংলার মতো রাজ্যে দোল উৎসব। দোলের দিন পরস্পরকে রং মাখানোর রীতি চলে আসছে বরাবর। তবে পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই জলে রং গুলে পরস্পরকে মাখানোর পরিবর্তে আবির মেখে দোল উদযাপনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। পরিবেশকর্মীরাও আবির খেলাতেই উৎসাহ দেন। কিন্তু তাতেই আপত্তি মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর।
বিশ্বাসের এই মন্তব্য ঘিরে যথারীতি বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে এর আগেও একাধিক বার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের নাম পাল্টে ভোজপাল করে দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির জন্য জওহরলাল নেহরুকেও সম্প্রতি দায়ী করেন তিনি। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে নেহরু ভাষণ দেওয়ার পরই দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে বলে দাবি করেন।