Morbi Bridge Collapse: মোরবিতে সেতু বিপর্যয়ে মৃত বেড়ে ১৩৬, মোদির সফরে ঢাকা হল সংস্থার নাম! উঠছে অভিযোগ
Gujarat Bridge Collapse: ঘটনাস্থলে রয়েছে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রয়েছে নৌ এবং সেনাবাহিনীও।
আমদাবাদ: গুজরাতের মোরবি ঝুলন্ত সেতু বিপর্যয়ে (Morbi Bridge Collapse) মৃতের সংখ্য়া বেড়ে ১৩৬। মৃতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৫০-এর বেশি। মারা গিয়েছেন ৩৫ জন মহিলা। এখনও উদ্ধারকার্য চলছে মাচ্ছু নদীতে (Gujarat Bridge Collapse)। জলের নিচে,গুল্মের ঝোপে আরও দেহ আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা।
গুজরাতের মোরবি সেতু বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৬
ঘটনাস্থলে রয়েছে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রয়েছে নৌ এবং সেনাবাহিনীও। সেতু বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত নয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু যে সংস্থার হাতে সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল, উপযুক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই যারা সেতু খুলে দেয় বলে অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
এর মধ্যেই মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উদ্ধারকারীদের সঙ্গেও কথা বলেন। সেখানে তার সঙ্গে দেখা যায় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলকেও। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেতু বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি না করা বাঞ্ছনীয় বলে মত তাঁর। কিন্তু বিরোধীরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছেন। ফিট সার্টিফিকেট ছাড়া কেন সাত তাড়াতাড়ি সেতু খুলে দেওয়া হল, পাখা নির্মাণকারী সংস্থার হাতে কেন সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল, উঠছে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, এ দিন মোদি পরিস্থিতি পরিদর্শনের সময়, সেতুর একপ্রান্তে ওই বেসরকারি সংস্থার নাম ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: Gujarat: ঘর নিয়ে 'দুশ্চিন্তায় মোদি', বাইরে ফুট কাটলেন শান্তনু-সুজনরা
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সেতু বিপর্যয় ঘিরে ইতিমধ্যেই দোষারোপ, পাল্টা জবাবের পালা শুরু হয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর, যে বেসরকারি ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থা, ওরেভা গ্রুপকে (অজন্তা ঘড়ির অভিভাবক সংস্থা) সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের বরাত দেওয়া হয়েছিল, সাত মাস সময় নিয়েও পুরনো কেবল বদলায়নি তারা। বরং জং ধরা সেই কেবলের উপর রং চাপিয়েই খুলে দেওয়া হয় সেতু। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়নি।
ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থাকে কেন সেতুর বরাত! উঠছে প্রশ্ন
গোটা ঘটনায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগ, গোটা ঘটনার নেপথ্যে বড় ধরনের দুর্নীতির যোগ রয়েছে। একটি ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থা, যাদের সেতু তৈরি বা রক্ষণাবেক্ষণের কোনও অভিজ্ঞতাই নেই, তাদের বরাত দেওয়া হল কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।