Haryana News: গ্রিলে বিদ্ধ সদ্যোজাতের দেহ ! সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে আঁতকে উঠলেন পড়শিরা
Police Investigation: ঘটনার তদন্তে নেমে সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যাতে ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তা কে সেটা পরিষ্কার হওয়া যায়...
ফরিদাবাদ : মর্মান্তিক ! এক সদ্যোজাতের মৃতদেহ উদ্ধার হল গ্রিলে বিদ্ধ অবস্থায়। বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল দেহটি। শুক্রবার রাতে হরিয়ানার গ্রাম আজরোন্ডা থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অনুমান, একটি দেওয়ালে ওপরে থাকা খোঁচা গ্রিলে ওই সদ্যোজাতকে কেউ ছুড়ে ফেলে দেয়।
আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুর মৃতদেহটি দেখতে পান। ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁরা আঁতকে ওঠেন। তাঁরা নিজের চোখেও বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। এরপর খুব যত্ন সহকারে দেহটি গ্রিল থেকে বের করা হয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদাবাদের বাদশা খান সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিষয়টি বোঝা যাবে যে, শিশুটিকে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করেছে, নাকি গ্রিলে পড়ে গিয়ে এই পরিণতি হয়েছে তার।
ঘটনার তদন্তে নেমে সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যাতে ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তা কে সেটা পরিষ্কার হওয়া যায়। আজরোন্ডার হতবাক বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘটনায় সদ্যোজাতের বাবা-মা দোষী। এমনকী তাঁরা অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডও দাবি করেন। পুলিশ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে।
২০২২ সালে এরকমই একটি মর্মান্তিক ঘটনা দেখা গিয়েছিল এ রাজ্যে। বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল নিখোঁজ সদ্যোজাতর দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওড়ার (Howrah) টিকিয়াপাড়ায় (Tikiapara) উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ ওঠে, ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না সদ্যোজাতর (New Born)। জলের ট্যাঙ্ক থেকে দেহ উদ্ধার হয়। হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় জলের ট্যাঙ্কে ফেলে শিশুকে খুনের অভিযোগে তার জেঠিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে স্পষ্ট হয়, শিশুকে আবাসনের বাইরে আনা হয়নি। এরপর বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় জেঠিমাকে।
কী ঘটেছিল?
মাত্র চারদিন আগে পৃথিবার আলো দেখেছিল। সেই একরত্তির নিথর দেহ উদ্ধার হয় আবাসনের জলের ট্যাঙ্ক থেকে। অভিযোগ, ঘুমন্ত মায়ের কোলের কাছ থেকে সদ্যোজাতকে নিয়ে গিয়ে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে খুন করা হয়। পুত্রসন্তান হওয়ায় পারিবারিক ঈর্ষার কারণেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রথমে চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেও শিশুর সন্ধান মেলেনি। হাওড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। পুলিশ আবাসনের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে। কিন্তু সূত্রের খবর, তাতে কোনও হদিশ মেলেনি। ফ্ল্যাটের আবাসিকরা দেখেন, ট্যাঙ্ক থেকে লাল রঙের জল আসছে। সেইসঙ্গে দুর্গন্ধ। তারপর জলের ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে দেখা যায়, জলে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সদ্যোজাত।