Politics of Hate: ‘আপনার নীরবতা বধির করে তুলছে সমাজকে’,সাম্প্রদায়িক হিংসায় মোদিকে খোলা চিঠি প্রাক্তন আমলাদের
Politics of Hate: মোদির উদ্দেশে লেখা ওই খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজীব জং, প্রাক্তন জাতীয় উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রাক্তন বিদেশ সচিব সুজাতা সিংহ-সহ ১০৮ জনের।
নয়াদিল্লি: একের পর এক হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে গত কয়েক দিনে। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) খোলা চিঠি দেশের ১০০-র বেশি প্রাক্তন আমলার। ‘ঘৃণার রাজনীতি’তে (Hate Politics) ইতি টানতে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। মূলত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই ঘৃণার রাজনীতি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
১০৮ আমলার খোলা চিঠি মোদিকে
মোদির উদ্দেশে লেখা ওই খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজীব জং, প্রাক্তন জাতীয় উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রাক্তন বিদেশ সচিব সুজাতা সিংহ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব জিকে পিল্লাই, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের প্রধান সচিব টিকেএ নায়ার-সহ মোট ১০৮ জনের।
Our former bureaucrats on the increase of hate in India:
— ranjona banerji 🇮🇳 (@ranjona) April 26, 2022
"...it is evident that the administration at the state and local levels provides a facilitating environment for mischievous lumpen groups to operate without fear."
Someone please listen!!!!https://t.co/QNRIcw6EPd
আরও পড়ুন: Prashant Kishor: দখলদারি থেকে সরতে নারাজ নেতৃত্ব! কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ফেরালেন প্রশান্ত
ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘ঘৃণায় পরিপূর্ণ এক ধরনের ধ্বংসাত্মক উন্মত্ততা লক্ষ্য করছি আমরা, তাতে শুধুমাত্র মুসলিম বা অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ই বলি হচ্ছে না, বলি হচ্ছে দেশের সংবিধান নিজেই। প্রাক্তন আমলা হিসেবে এ ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে অভ্যস্ত নই আমরা। কিন্তু যে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের পূর্বপুরুষরা দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে দাঁড় করিয়েছিলেন, চোখের সামনে তা গুঁড়িয়ে যেতে দেখে মুখ খুলতে, ক্ষোভ জানাতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। ’’
সংখ্যালঘু সম্প্রদাের প্রতি হিংসার ঘটনা বৃদ্ধিতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন আমলারা। তাঁদের কথায়, ‘দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে মুসলিমদের উপর ঘৃণামিশ্রিত হিংসার ঘটনা যে ভাবে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে, গত কয়েক বছরে অসম, দিল্লি, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্য, যেখানে কিনা বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে , সেখানে আতঙ্ক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এ ব্যাপারে একমাত্র ব্যাতিক্রম দিল্লি (সেখানে পুলিশকে কেন্দ্রই নিয়ন্ত্রণ করে)।’
নীরবতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন
চিঠিতে আমলারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সাংবিধানিক নৈতিকতাই শুধু নয়, ভারতের সামাজিক পরিকাঠামোর উপরই বিপদের খাঁড়া ঝুলছে। দেশের সংবিধানে যেখানে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের কথা বাল হয়েছে, তাকে আজ ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলা হচ্ছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা সমাজকে বধির করে তুলছে।