Panama Papers Leak Case:ঐশ্বর্য রাইয়ের পর এবার অভিষেক বচ্চনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি
Panama Papers Leak Case:জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে জবাব দিতে গিয়ে ইতস্তত করেন ঐশ্বর্য। বিদেশি কোম্পানি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাবার কোম্পানি ছিল। বাবা জানতেন।
মুম্বই: ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ইডি সূত্রে প্রাপ্ত খবরে এ কথা জানা গেছে। গতকালই ঐশ্বর্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য করেছিল ইডি। তাঁকে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে পানামাকাণ্ডে ঐশ্বর্যের বয়ান রেকর্ড করা হয়। আয়কর ফাঁকির অভিযোগে পানামা পেপার্সে ৫০০ ভারতীয়ের নাম রয়েছে। পানামা পেপার্সে নাম থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বচ্চন পরিবারের তারকা গৃহবধূকে এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবার ঐশ্বর্যর বয়ানের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ইডি অভিষেকের কাছে জানতে চাইতে পারে যে, সোওয়া পাঁচ লক্ষ পাউন্ড কোথায় ও কিভাবে খরচ করা হল? তিনি কি এ ব্যাপারে আয়কর বিভাগ বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে তথ্য দিয়েছিলেন?
সোমবার সিনে দুনিয়ার একেবারেই বাইরে বাস্তবিক দুনিয়ায় প্রথমবার তদন্তকারী আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই।
জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে জবাব দিতে গিয়ে ইতস্তত করেন ঐশ্বর্য। বিদেশি কোম্পানি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাবার কোম্পানি ছিল। বাবা জানতেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঐশ্বর্যকে নথিও দেখানো হয়। বিদেশি কোম্পানি এমিক পার্টনার্স লিমিটেডের কাগজপত্রে তাঁর স্বাক্ষরও রয়েছে। ওই কোম্পানির বিদেশি বিজনেস কোম্পানি নম্বর ৬২১৪৪৮ ছিল। ২০০৪-এর ২৮ অক্টোবর এই কোম্পানি খোলা হয়েছিল। কোম্পানির অর্থের উৎস নিয়েও অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করে ইডি। ঐশ্বর্যর কাছ থেকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও চাওয়া হয়।
ঐশ্বর্যর বাবা ২০১৭ সালে প্রয়াত হন। ঐশ্বর্যর বয়ানের ভিত্তিতে ইডি শীঘ্রই অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে। জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বয়ানের ক্রস চেকিং শুরু করা হয়েছে। বয়ান খতিয়ে দেখার পর ইডি-র প্রধান কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। জানা গেছে. ইডি-র দফতরে এসে ঐশ্বর্য কিছু নথিপত্রও জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পানামা পেপার্সে সারা বিশ্বের বেশ কিছু নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম সামনে এসেছিল, যাঁরা দেশের বাইরে বিদেশি কোম্পানিতে অর্থ লগ্নি করেছিলেন বলে অভিযোগ।