Punjab Political Crisis: অমরিন্দরের ইস্তফার পর পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৈঠক কংগ্রেসের
গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাহুল গাঁধীর বাসভবনে বৈঠক হয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল ও অম্বিকা সোনিও বৈঠকে হাজির ছিলেন।
চণ্ডীগড়: বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে আচমকাই সরে দাঁড়িয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা স্থির করতে বৈঠকে বসছে কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, আজ সকাল ১১ টায় চণ্ডীগড়ে কংগ্রেসের এই বৈঠক হবে। হরিশ রাওয়াত, অজয় মাকেন ও হরিশ চৌধুরীর মতো দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা এই বৈঠকে থাকবেন।
পঞ্জাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমরিন্দরের ইস্তফা ও নেতা নির্বাচন নিয়ে দলের ধারাবাহিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কংগ্রেসের কাছে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেশ কিছু নাম ঘোরাফেরা করছে। তবে সূত্রের খবর, অমরিন্দরের ছেড়ে যাওয়া কুর্সিতে বসার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সুনীল জাখর।
গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাহুল গাঁধীর বাসভবনে বৈঠক হয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল ও অম্বিকা সোনিও বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠকে সিধু, জাখড়, সুখবিন্দর সিংহ রান্ধওয়া সহ বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। সুনীল জাখড় এগিয়ে থাকলেও তাঁর নামে বেশ কয়েকজন বিধায়কের আপত্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এরইমধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোতি সিংহ সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করা হলে তার তীব্র বিরোধিতা করেছেন অমরিন্দর। তিনি সিধুকে অদক্ষ ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক আখ্যা দিতেও ইতস্তত করেননি। তিনি বলেছেন, সিধু অযোগ্য। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে তা হবে বিপর্যয়। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে বেছে নেওয়া হলে আমি তার তীব্র বিরোধিতা করছি। সিধুর সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে তা হবে জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করা।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন অমরিন্দর। চণ্ডীগড়ে রাজভবনে রাজ্যপাল বানওয়ালিলাল পুরোহিতের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। ইস্তফা দিয়েই রাজভবনের সামনে অমরিন্দর বলেন, এদিন সকালেই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন।
অমরিন্দর বলেন, গত দুই মাসে এই নিয়ে তিনবার এমন হল। ওরা বিধায়কদের দিল্লিতে দুবার ডেকে পাঠিয়েছিল। আর এখন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক। আমি অপমানিত বোধ করছি এবং এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাইকম্যান্ড যাঁকে চাইবে, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে।
তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে অমরিন্দক জানান, তিনি অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।