Rahul Gandhi: দেশ চালাচ্ছেন চারজন, ‘হম দো হমারা দো’,কটাক্ষ রাহুলের
লোকসভায় মোদি সরকারকে জোরাল আক্রমণ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গাঁধীর। তিনি বলেছেন, প্রথম কৃষি আইনের বিষয়বস্তুতে বলা মাণ্ডি উঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দ্বিতীয় আইনের বিষয়বস্তু অনুযায়ী, ব্যবসায়ীরা যত খুশি সব্জি, ফল, আনাজ মজুত করতে পারেন। মজুতদারিকে উৎসাহ দেওয়াই এর লক্ষ্য।
নয়াদিল্লি: লোকসভায় মোদি সরকারকে জোরাল আক্রমণ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গাঁধীর। তিনি বলেছেন, প্রথম কৃষি আইনের বিষয়বস্তুতে বলা মাণ্ডি উঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দ্বিতীয় আইনের বিষয়বস্তু অনুযায়ী, ব্যবসায়ীরা যত খুশি সব্জি, ফল, আনাজ মজুত করতে পারেন। মজুতদারিকে উৎসাহ দেওয়াই এর লক্ষ্য।
রাহুল গাঁধী বলেছেন, তৃতীয় আইনের বিষয়বস্তুতে রয়েছে যে, যখন ভারতের কোনও কৃষক বৃহৎ ব্যবসায়ীদের ফসল বিক্রির জন্য সঠিক দাম চাইলে, সেক্ষেত্রে কোনও বিরোধ বাধলে আদালতে যেতে পারবেন না।
রাহুলের বক্তব্যের সময় বিজেপি সদস্যরা হইহট্টগোল শুরু করেন। এরপর অধ্যক্ষ বলেন, আপনি বাজেটের ওপর বক্তব্য রাখুন। রাহুল গাঁধী তাঁর বক্তব্য চালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার সভায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন যে, বিরোধীরা শুধু মাত্র আইনের রং নিয়েই আলোচনা করছেন, তার কনটেন্ট নিয়ে নয়। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়েই পাল্টা নিশানা করলেন রাহুল।
রাহুল গাঁধী বলেছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে পরিবার পরিকল্পনার স্লোগান ছিল, 'হম দো, হমারা দো'। আজ কী হচ্ছে। করোনা যেমন ধরন পাল্টে ফিরে এসেছে, তেমনই এই স্লোগানও ভিন্নভাবে ফিরে এসেছে। এই দেশ এখন চার ব্যক্তি চালান। এখন এই সরকারের স্লোগান 'হম দো, হমারা দো'।
রাহুল গাঁধী মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, দুই বন্ধুর এক বন্ধুকে দেওয়া হচ্ছে ফল ও সব্জি বেচার অধিকার। এতে লোকসান হবে ঠেলাওয়ালার, ছোট ব্যবসায়ীদের, মান্ডিতে কর্মরতদের। দ্বিতীয় বন্ধুকে সারা দেশে আনাজ, ফল ও সব্জি মজুতের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
রাহুল গাঁধী বলেছেন, এই আইন চালবু হলে দেশের কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের রোজগার ধাক্কা খাবে। কৃষকরা জমি হারাবেন। ফসলের সঠিক দাম পাওয়া যাবে না। শুধু দুজন ব্যক্তি হম দো, হমারা দো করে চালাবেন। কয়েক বছর পর এমন পরিস্থিতি হবে যে ভারতের আম আদমি না খেয়ে পেয়ে মরতে হবে। গ্রামীণ অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সরকারের এটাই প্রথম চেষ্টা নয়। প্রধানমন্ত্রী তা নোটবন্দির মাধ্যমে শুরু করেছিলেন। প্রথম আঘাত ছিল নোটবন্দি। এর পিছনে উদ্দেশ্য ছিল, কৃষক-গরিবদের থেকে অর্থ নিয়ে উদ্যোগপতিদের পকেটে পৌঁছে দেওয়া। এরপর নিয়ে আসা হয় জিএসটি এবং কৃষক-মজদুরদের নিশানা করা হয়।
রাহুল গাঁধী আরও বলেছন, করোনা পর্বের সময় শ্রমিকরা বাস ও টিকিট চাইলেন। সরকার বলল, হবে না। কিন্তু সরকার বলছে, শিল্পপতি বন্ধুদের ঋণ মকুব হবে।
কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে রাহুল বলেছেন, এটা কৃষকদের নয়, দেশের আন্দোলন। কৃষকরা শুধুমাত্র পথ দেখিয়েছেন। কৃষকরা অন্ধকারে টর্চ দেখাচ্ছেন। পুরো দেশ এক সুরে হম দো, হমারা দো-র বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে চলেছে। কৃষকরা এক ইঞ্চি পিছু হঠবেন না। কৃষক ও শ্রমিকরাই আপনাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবেন। আপনাদের আইন বাতিল করতে হবে।
কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেছেন, সরকার কৃষকদের ইস্যুতে আলোচনা চায় না। আমি বাজেট নিয়ে মন্তব্য করব না। কৃষক আন্দোলন চলাকালে শহিদ কৃষকদের সভায় শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়নি। ভাষণের পর আমি তাঁদের জন্য দু মিনিট মৌন থাকব।
এরপর কংগ্রেস সাংসদরা নীরবতা পালন করেন।