Rajasthan Panchayat election: মরুরাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কংগ্রেস না বিজেপি জিতল কে?
Rajasthan Panchayat election results: ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আধিপত্য বজায় রাখল কংগ্রেস। এই পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনে, কংগ্রেস পেয়েছে ২৭৮টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ১৬৫টি আসন।
নয়া দিল্লি: রাজস্থানের চারটি জেলায় সম্প্রতি শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে দাগই কাটতে পারল না পদ্ম শিবির। বরং ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আধিপত্য বজায় রাখল কংগ্রেস। এই পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনে, কংগ্রেস পেয়েছে ২৭৮টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ১৬৫টি আসন। বারান, কোটা, গঙ্গানগর এবং করৌলি চারটি জেলায় ৫৬৮ সদস্যের জন্য ৩০টি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন হয়। মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জারি করা তথ্য অনুসারে, এই নির্বাচনে ১৪টি আসন পেয়েছে বিএসপি, ১৩টি সিপিআই(এম) এবং ৯৭টি আসন পেয়েছে নির্দল প্রার্থী।
জেলা পরিষদের ১০৬ সদস্যের জন্যও ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে কংগ্রেস দল ৫৭টি আসন জিতেছে, যেখানে বিজেপি ৩৫টি আসন পেয়েছে। এই নির্বাচনেও বিএসপি একটি আসন পেয়েছে, সিপিআই(এম) দুটি আসন এবং নির্দল প্রার্থীরা ৫টি আসন পেয়েছে। রাজ্যের এই ৪টি জেলায়, জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের জন্য ৩টি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এই নির্বাচনে মোট ২২৫২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯৪৬ জন পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩০৫ জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন। এই নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরে, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি গোবিন্দ দোতাসারা বলেছিলেন যে রাজ্য সরকার এবং কংগ্রেস সংগঠনের সেবামূলক কাজের জন্য জনগণই সমর্থন করেছে। কংগ্রেস প্রার্থীরা ৪টি জেলা পরিষদের ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬২টিতে জয়ী হয়েছে। ৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির ৫৬৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭৭টিতে কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে, গুজরাতের পঞ্চায়েত নির্বাচনেরও ফল প্রকাশিত হয়েছে। গুজরাতের রাজ্য নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার রাতের দিকে ৮ হাজার ৬৮৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬ হাজার ৪৮১ টির ফলাফল ঘোষণা করেছে।
গুজরাতের এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিশেষত্ব হল, কোনও প্রার্থীই কোনও দলীয় প্রতীকের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তারা প্রত্যেকেই দাঁড়িয়েছেন ব্যক্তিগত পরিচয়ে। অনেক প্রার্থী এমন রয়েছেন যাদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগ রয়েছে, কিন্তু ভোটের মঞ্চে নামার সময় কোনও প্রার্থীই পাননি দলীয় প্রতীক। পাশাপাশি পরে তারা কোনও দলে যুক্ত হতে পারেন, এমন রাস্তাও খোলা। কিন্তু ভোটে দাঁড়ানোর সময়ে কেউই দলীক প্রতীক পাননি। কোনও দলীয় প্রতীক সেভাবে না থাকলেও আসলে নির্বাচন তো আর রাজনৈতিক প্রভাব ব্যতিত থাকে না, তাই এই ভোটের ফলাফল সামনে আসার পরই গুজরাতের একাধিক জায়গা থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর সামনে এসেছে।