Sushmita Dev : রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী সুস্মিতা দেব
রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সুস্মিতা দেবের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল।
কলকাতা : রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সুস্মিতা দেবের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মানস ভুঁইয়া। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনটি খালি ছিল। আগামী ৪ অক্টোবর রাজ্যসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছে কমিশনের তরফে। মোট ৬টি আসনে রয়েছে ভোট। ওইদিনই গণনা। এই পরিস্থিতিতে আজ দলীয় প্রার্থী হিসেবে সুস্মিতা দেবের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল।
কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দেন সুস্মিতা দেব। অসম এবং ত্রিপুরায় তৃণমূলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েন সুস্মিতা দেব। চিঠিতে সুস্মিতা দেব লিখেছিলেন, ''জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক শেষ করছি। আমার পাশে থাকার জন্য সতীর্থ ও দলের নেতা-মন্ত্রীদের ধন্যবাদ। তিন দশকের স্মৃতি সারা জীবন মনে রাখব।''
কংগ্রেস ছাড়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন সুস্মিতা দেব। গত অগাস্ট মাসে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর মা-মাটি মানুষের উত্তরীয় পরে নবান্নে যান অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরের দিন সাংবাদিক বৈঠক করে সুস্মিতা বলেন, "ভবিষ্যতে দেশের ভালর জন্য কাজ করতে চাই। সেই কাজের সঙ্গেই আমি জুড়ে গেলাম। কংগ্রেসের তরফে রাহুল গাঁধী, সনিয়া গাঁধী আমায় অনেক সুযোগ দিয়েছেন। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সবরকমভাবে কাজ করতে চাই।অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি তাঁর লক্ষ্যে আত্মবিশ্বাসী।"
এদিকে ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখলকে পাখির চোখ করেছে বাংলার শাসকদল। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে সে রাজ্যের মহিলা ভোট নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। এখানে তৃণমূল তুরুপের তাস করেছে সুস্মিতা দেবকে। প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, ত্রিপুরায় মহিলারা জনসংখ্যার প্রায় ৪৯ শতাংশ। মহিলাদের একটা ভিন্ন ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। মহিলাদের ইউনিক চাহিদা যদি কেউ বোঝেন, সেটা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে দলের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে সুস্মিতা দেবের নাম ঘোষণাই বুঝিয়ে দিচ্ছে তাঁকে রাজ্যের শাসকদল কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল।