Kanpur:অন্ধবিশ্বাসে আত্ম-সমাধি মহিলার! বাঁচাল পুলিশ
ওই মহিলা সমাধি নেওয়ার পর তাঁকে দেখতে হাজার হাজার গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে হাজির হন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ওই মহিলাকে বাইরে বের আনে এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ওই মহিলা সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
কানপুর: উত্তরপ্রদেশের কানপুরে অন্ধবিশ্বাসের চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল। কুসংস্কারের বশে এক মহিলার জীবন্ত সমাধি নেওয়ার এই ঘটনা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন এক মহিলা ভগবান শিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে জীবন্ত সমাধি নিয়ে নিলেন।অন্ধবিশ্বাস এতটাই প্রবল ছিল যে, স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাঁকে কোনওরকম বাধা দেওয়ার চেষ্টা তো করেনইনি, বরং তাঁকে সমাধি নিতে সাহায্য করেন। শুধু তাই নয়,ঢোল বাজিয়ে ভজনও করতে দেখা যায় তাঁদের।
ওই মহিলা সমাধি নেওয়ার পর তাঁকে দেখতে হাজার হাজার গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে হাজির হন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ওই মহিলাকে বাইরে বের আনে এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ওই মহিলা সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই ঘটনা কানপুরের ঘাটমপুরের সজেটি থানা এলাকার মন্ডা গ্রামে ঘটেছে। সেখানে দয়াশ্রী নামে এক মহিলা কুসংস্কারের বশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য জীবন্ত সমাধি নিয়ে নেন। আশ্চর্যের ব্যাপার, তাঁকে এই কাজে বাধা দেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে সমর্থন করেন গ্রামবাসী ও পরিবার-পরিজনরা। গয়াশ্রীর সমাধি গ্রহণের কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তাঁর স্বামী রামসজীবন বলেছেন, গয়াশ্রী গত পাঁচ বছর ধরে ভগবান শিবের প্রতি ভক্তিতে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন।
রামসজীবনের আরও দাবি, ভগবান শিব গয়াশ্রীকে সাক্ষাৎ দর্শন দেন এবং ভগবানই তাঁকে সমাধি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেজন্যই গয়াশ্রী সমাধি নেন।অন্যদিকে, গয়াশ্রীর ছেলে অরবিন্দ ও মেয়ে সুমিত্রার দাবি, গত কয়েক বছর ঘরে তাঁদের মা ভগবান শিবের তপস্যা করছেন। একদিন আচমকা ভোলানাথ দর্শন দেন এবং সমাধি নিতে বলেন। সেই আদেশ পালন করতেই তাঁদের মা সমাধি নিয়েছেন ।
জীবন্ত সমাধির খবর কয়েক ঘণ্টা পরে পায় প্রশাসন। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ওই মহিলাকে সমাধি থেকে বের করে। ওই সময় তিনি অচৈতণ্য অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে। ওই মহিলা এখন পুরোপুরি সুস্থ। এই ঘটনার ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।