Mamata Banerjee : বাংলার পুজোর রেশের মাঝেই চেন্নাইয়ে রাজ্যপালের বাড়িতে সেন্ডা মেলম বাজালেন মমতা
রাজ্যপালের আমন্ত্রণে তাঁর দাদার ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল চেন্নাই গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আশাবুল হোসেন, চেন্নাই : বাংলার রাজ্যপালের পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চেন্নাই গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে রাজ্যপালের ( Bengal Governor La Ganesan ) দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) । এই বাদ্য যন্ত্রের নাম সেন্ডা মেলম ।
মুখ্যমন্ত্রীর ঢাক বাজানো
রাজ্যপালের আমন্ত্রণে তাঁর দাদার ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গতকাল চেন্নাই গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রাজ্যপালের বাড়িতে মমতাকে সেন্ডা মেলম বাজাতে দেখা যায়।
এরই মধ্যে চেন্নাইয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের ( MK Stalin )সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপহার দিলেন নারকেল নাড়ু, শাড়ি, ধুতি। উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন স্ট্যালিন ও তাঁর পরিবার। সূত্রের খবর, জাতীয় রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। যদিও স্ট্যালিন-মমতা সাক্ষাৎকে তীব্র কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু, দেড় বছর পর যেখানে লোকসভা ভোট, মোদি-বিরোধী শিবিরের মুখ কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন এই বৈঠক নতুন জল্পনা উস্কে দিয়েছে। এই সাক্ষাতের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' স্ট্যালিনজি আমার দাদার মতো। আমি তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ করলাম। সৌজন্য বৈঠক। যদিও এটা আগে থেকে ঠিক ছিল না। রাজ্যপাল আমাকে তাঁর পারিবারিক অনুষ্ঠানের যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই কারণেই আমার চেন্নাই আসা। কিন্তু এখানে এসে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা না করে চেন্নাই থেকে ফিরব কী করে?'
বুধবার দুপুরের বিমানে চেন্নাই বিমানবন্দরে পৌঁছে, সোজা এম কে স্ট্যালিনের বাড়িতে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী দুর্গা, ছেলে উদয়নিধি, বোন কানিমোঝি-সহ পরিবারের সদস্যরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভ্যর্থনা জানান । মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন ও তাঁর পরিবারের জন্য নারকেল নাড়ু, শাড়ি ও ধুতি উপহার নিয়ে যান। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে উপহার দেন। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মোদি সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তা, বিরোধী শাসিত রাজ্যকে বঞ্চনা, গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভঙ্গ, সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি কিংবা হিন্দির আগ্রাসনের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয় দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে।